নিজস্ব প্রতিবেদক
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস। সংগঠনটি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের প্রকৃতি ও পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম, বিশেষ করে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের জন্য দায়বদ্ধ, তা থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসার করতে হবে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৈশ্বিক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ এবং ইয়ুথনেট ফর ফ্লাইমেট জাস্টিস আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে শতাধিক তরণ-তরুণী অংশ নেন।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের ঢাকা জেলার সমন্বয়কারী মিরাজ হোসেনের সভাপতিত্বে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, ইয়ুথনেটের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপারসন আমিনুল ইসলাম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ময়ূরী আক্তার টুম্পা, এসজেড অপু, নাজমুন নাহিদ, আরিফুর রহমান
শুভ, আল শাহরিয়ার ফাহিম, ফাহাদ বিন হুসনে আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের ডাকে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং বিশ্বের এক হাজারেরও বেশি জায়গায় তরুণরা রাজপথে ও অনলাইনে যে ধর্মঘট পালন করছেন এর সঙ্গে সংহতি জানান।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী। অথচ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত ও গভীর সংকটে পড়েছে। তাদেরকেই নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব, দ্রুততম সময়ে প্রতিশ্রুত অর্থ দিতে হবে। জলবায়ু
সুবিচারের দাবিতে উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য একটি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য পথনকশা প্রণয়ন, দ্রুত বাস্তবায়ন ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভিযোজন তহবিল সরবরাহ করতে হবে।