আলম রায়হান:
পদ্মা সেতুর প্রভাব এবং দীর্ঘ দিনের জুলুমের প্রভাবে ঢাকা-দক্ষিণ অঞ্চেল রুটে লঞ্চের যাত্রী কমেছে। এ অবস্থায় ধারনা করা হয়েছিলো ভাড়া আস্বাভাবিক হার কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হবে। এমন দাবীরও উঠেছিলৈা মালিকদের পক্ষ থেকে। ঈদের পর ভাড়া কমাবার সিদ্ধান্ত আসবে- এটি ছিলো নিশ্চিত ধারণা। কিন্তু তা হচ্ছে না।
বিষযটিকে সাদা চোখে ‘ঈদের গরম’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, পদ্মা সেতু চালু হবার পরও এবারের ঈদে যাত্রী চাপে মালিকরা গরমে আছেন। কিন্তু আসল বিষয় এমন নয়। বরং লঞ্চভাড়া না কমাবার নেপথ্যে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। তা হচ্ছে স্বল্প পুঁজির মালিকদেরকে লঞ্চ ব্যবসা থেকে বিতাড়ান করা।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। সেইসঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী দেশের সেরা সেরা কোম্পানির বিলাসবহুল লঞ্চ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। হঠাৎ করে যাত্রী কমে যাওয়ায় অনেকটা বিপাকেও পড়েন অনেক মালিক। যাত্রীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রস্তাব দেওয়া হয় ভাড়া কমানোর। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু শেষতক লঞ্চ ভাড়া না কমাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঞ্চ মালিকদের সংগঠন। উল্লেখ্য, লঞ্চন মালিদের সংগঠনের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদের ঢাকা-বরিশাল রুটে কোন লঞ্চ নেই। আবার এমন নেতাও আছেন যারা লঞ্চের মালিক নন। ফলে লঞ্চ ব্যবসায় লালবাতি জ্বলে তাদের তেমন ক্ষতি হবার কিছু নেই।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, জগদ্দল পাথরের মতো চেপেবসা বহিরাগত তেতৃত্বের বাইরেও অন্য একটি জটিল বিষয আছে। তা হচ্ছে, অজ্ঞাত উৎস থেকে পুজিঁ নিয়ে লঞ্চন ব্যবসায আসা কতিপয় মালিক পুরো সেক্টরকে গ্রাস করার দুরভিসন্ধিতে আছেন। এ কারণে পদ্মা সেতু চালু হবার পর যাত্রী ধরে রাখার কৌশল হিসেবে ভাড়া কমানোর চাপ থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ফলে লঞ্চযাত্রী আরো কমবে। এর প্রভাবে লোকশান এমন মাত্রায় পৌছাবে যে অনেক মালিককেই লঞ্চ ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। তখন এ খাতে বড় পুঁজির মালিকরা জেকে বসার সুযোগ পাবেন এবং পুরো সেক্টর চলে যাবে বড় মালিকদের দখলে।