দখিনের সময় ডেস্ক:
গ্রামীণ নারীরা গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি হাঁস-মুরগি পালন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। বিশেষ করে নদ-নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে নারীরা হাঁস পালন করে পরিবারে সচ্ছলতা আনছেন। হাঁস পালনে তুলনামূলকভাবে খরচ কম, লাভ ভালো।
বাড়িতে হাঁস পালন করেন এমন নারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি হাঁসের বাচ্চা জেলা শহর থেকে ৩০ টাকা দরে কিনে নিয়ে আসেন। বাচ্চাগুলোর বাসস্থানের জন্য বাঁশের ঘর কিংবা ঘরের কোণে কুটির তৈরি করেন। বাচ্চাগুলো দ্রুত বেড়ে উঠতে বাড়ির চারদিকে খোলা মাঠ ও পুকুরে ছেড়ে দেন। এভাবেই অল্প ব্যয়ে হাঁসগুলো পরিপক্ব করেন তারা। তাদের এসব হাঁস পরিপক্ব করতে বাড়তি খরচ করতে হয় না। তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পালন করে প্রতিটি হাঁস ৪৫০-৫০০ টাকা বিক্রি করেন তারা।
সাজিনা বেগম নামে এক নারী বলেন, আমার স্বামী ব্যবসা করেন, পাশাপাশি আমাকে ১০০ হাঁসের বাচ্চা এনে দিয়েছেন। এই হাঁসগুলো বড় করতে তিন মাসের মতো সময় লাগে। আমার ১০০ হাঁস পালনে সব মিলিয়ে ১২-১৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার হাঁস বিক্রি করেছি। আরও ১০টি হাঁস বাড়িতে আছে। হাঁস পালনে তুলনামূলকভাবে খরচ কম, লাভ ভালো। হাঁস পালন করলে কোনো পরিবারে অভাব থাকার কথা নয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল হাই সরকার জানান, উন্মুক্ত নিচু জমি ও জলাশয়ে হাঁস পালন করলে বাড়তি খাবার লাগে না। এ কারণেই সহজেই হাঁস পালন করা যায়। হাঁসের বাচ্চা অল্প কিছু দিনের মধ্যে বড় হাঁসে পরিণত হয়। ফলে দামও ভালো পাওয়া যায়।