Home শিক্ষা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদেশ যেতে অব্যাহতি নিতে হবে

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদেশ যেতে অব্যাহতি নিতে হবে

দখিনের সময় ডেস্ক:

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার আগে অব্যাহতিপত্র জমা দিতে হবে। ছুটির পর কর্মস্থলে যোগ না দিলে সেটি কার্যকর হবে। এমন বিধান রেখে শিক্ষকদের জন্য শ্রেণিপাঠে এবং গবেষণায় সময় নির্ধারণ করে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালা-২০২২’ এর খসড়া করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

অভিযোগ আছে, শিক্ষা ছুটির পর শিক্ষকদের অনেকে নির্ধারিত সময়ে ক্লাসে ফেরেন না। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণা ব্যাহত হয়। ইউজিসির ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০২০ সালের চিত্র উঠে আসে। ৪৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই বছর ৩ হাজার ৫১১ শিক্ষক অন্তত ৫ ধরনের ছুটিতে ছিলেন। ২০৮৮ জন ছিলেন শিক্ষা ছুটিতে। ২০১৯ সালে ছিলেন ২২৬৪ জন আর ২০১৮ সালে ২১৩৩ জন। ২০২০ সালে প্রেষণ বা লিয়েন নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ৭৬ জন। বিনা বেতনে ছুটিতে ছিলেন ২০৩ জন আর ছুটি শেষ হওয়ার পরও অননুমোদিতভাবে বিদেশে অবস্থানকারী ছিলেন ৪৩ জন। ২০১৯ সালে ছিলেন ১৩ জন। ২০১৮ ও ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭০ ও ২৫। খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ১২০১ জন।

ইউজিসির একজন নীতিনির্ধারক জানান, উচ্চতর শিক্ষা, সেমিনার, সম্মেলন বা গবেষণা প্রবন্ধ পাঠ করার জন্য শিক্ষকদের বিদেশে যাওয়া অপরিহার্য। এছাড়া পিএইচডির মতো দীর্ঘ ছুটিতে কেউ গেলে তার বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের বিধানও আছে। ফলে এ ধরনের ছুটি একাডেমিক কার্যক্রমে তেমন প্রভাব ফেলার কথা নয়, যদি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছুটিজনিত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করে থাকে। কিন্তু সমস্যা হয় কোনো বিভাগ একই বছরে একাধিক শিক্ষককে ছুটি দিলে। মাঝেমধ্যে খবর পাওয়া যায়- উচ্চতর শিক্ষা শেষে অনেকে দেশে ফিরছেন না। এ কারণে ইউজিসি ওই নীতিমালা প্রণয়ন করছে। গত সোমবার এ সংক্রান্ত সভা হয়।

সভা সূত্রে জানা গেছে, খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন একজন শিক্ষককে আট ঘণ্টা করে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে। এর মধ্যে সপ্তাহে ১৩ ঘণ্টা ক্লাস ও একাডেমিক কাজ এবং বাকি ২৭ ঘণ্টা যুক্ত থাকতে হবে গবেষণা ও প্রশাসনিকসহ অন্যান্য কাজে। এছাড়া, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার আগে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সভায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপ-উপাচার্য বলেন, নীতিমালায় শিক্ষকদের কর্মঘণ্টার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হলেও ক্লাসে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত উল্লেখ করা হয়নি। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ক্লাসে ৩০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকেন। সেখানে শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানো না হলে নীতিমালা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। ইউজিসি জানিয়েছে, কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় খসড়া নীতিমালায় ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত উল্লেখ করা হয়নি। তবে ইউজিসির অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে মোট আসনের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

দাবদাহে সক্রিয় হয় বিষাক্ত সাপ

দখিনের সময় ডেস্ক: তীব্র গরমে মানুষের মধ্যেই যে কেবল হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়, তা নয়। একই অবস্থা তৈরি হয় সাপের ক্ষেত্রেও। দাবদাহে বিষাক্ত সাপও সক্রিয়...

তীব্র গরমের মধ্যেই শিলাবৃষ্টির আভাস

দখিনের সময় ডেস্ক: দেশজুড়ে চলছে হিট অ্যালার্ট। রৌদে অতিষ্ঠ জনজীবন। এর মধ্যেই শিলাবৃষ্টির আভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের। দেশের সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি এবং কোথাও...

ভোলায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলায় বৃষ্টির জন্য জাতীয় উলামায়ে মশায়েখ আম্মা পরিষদের পক্ষ থেকে সালাতুল ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ভোলা...

আমার লাশটি কাদের ভাইকে উৎসর্গ করে গেলাম

পদ্মা ব্রিজ হওয়ার আগে বরিশাল-ঢাকা করতাম লঞ্চে। সেই পাট চুকে গেছে। নৌ-পথের পাট চুকিয়ে এখন সড়ক পথই ভরসা। সরকারি লোকদের ফ্রিস্টাইল দুর্নীতি এবং মালিকপক্ষের...

Recent Comments