দখিনের সময় ডেস্ক:
পাঁচটি অর্পিতার এবং পার্থের সঙ্গে যৌথ ভাবে আরও চারটি ফ্ল্যাট ওই সংস্থার নথি ব্যবহার করে মোট ন’টি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল বলে দাবি ইডির আইনজীবীর।
‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস’। শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকের ‘অপা’ বাড়ি নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য, তখন বুধবার(৩ আগস্ট) আদালতে ইডির আইনজীবীর মুখে উঠে এল এই সংস্থাটির নাম। আদালতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সূর্যপ্রকাশ ভি রাজু দাবি করলেন, তল্লাশিতে উদ্ধার অংশীদারি নথিতে এই সংস্থাটির উল্লেখ রয়েছে। তার দু’জন অংশীদার, পার্থ ও অর্পিতা। এই সংস্থার মুখোশের আড়ালেই আরও বিপুল সম্পত্তি করা হয়েছিল বলে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলের দাবি। সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর আদালত ৫ অগস্ট, শুক্রবার পর্যন্ত পার্থ এবং অর্পিতাকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
বুধবার পার্থ ও অর্পিতার আইনজীবীর সওয়ালকে পাল্টা আইনি যুক্তি দিয়ে মোকাবিলা করেন সূর্যপ্রকাশ ভি রাজু। জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে তিনি পাল্টা সওয়াল করেন। তাঁর দাবি, প্রতিদিনই নিত্যনতুন সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাচ্ছে। সে সব সম্পত্তির সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার উৎস আমরা খুঁজে বের করব।’’ তার পরই তিনি বলেন, আমরা একটি অংশীদারি নথি বাজেয়াপ্ত করেছি, অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস। এর দু’জন অংশীদার, পার্থ ও অর্পিতা। এতে দু’জনেরই ৫০ শতাংশ করে শেয়ার। এই নথি ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ছাড়াও আরও পাঁচটি ফ্ল্যাটের মালিক অর্পিতা। এই ন’টি ফ্ল্যাট কেনার টাকা কোথা থেকে এল? এই অংশীদারি কারবারের নথি ব্যবহার করে আরও ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল বলেও আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।