Home শিক্ষা প্রশাসনিকভাবে ভারসাম্যহীন শিক্ষা ক্যাডার

প্রশাসনিকভাবে ভারসাম্যহীন শিক্ষা ক্যাডার

দখিনের সময় ডেস্ক:

শিক্ষা ক্যাডারের পদ সোপান প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত চার স্তরের। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের পদ প্রথম গ্রেড। সিলেকশন গ্রেডে দ্বিতীয় গ্রেডে পদোন্নতি হলেও তা বাতিল হয়েছে ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন কাঠামোয়। ফলে ক্যাডার সন্নিবেশ এক ধরনের প্রশাসনিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রশাসনিক ভারসাম্য রক্ষা এবং শৃঙ্খলার স্বার্থে শিক্ষা ক্যাডার পদ সোপান তৈরি গত দুই বছরেও শেষ হয়নি। অথচ ৯৫টি অধ্যক্ষের পদ তৃতীয় গ্রেড করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি। কিন্তু দ্বিতীয় গ্রেড না থাকায় প্রথম গ্রেডে সরাসরি পৌঁছানোর পথ রুদ্ধই থেকে গেছে। এই পদায়ন বৈষম্য, অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও পদোন্নতি সমস্যা মেটাতে ছয় স্তরের পদ সোপান প্রয়োজন। না হলে চতুর্থ গ্রেডে চাকরি জীবন শেষ করতে হবে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের। এমন পরিস্থিতিতে এই অবস্থার অবসানের দাবি তুলেছেন ক্যাডাররা (সরকারি কলেজ শিক্ষক)।

শিক্ষকরা বলছেন, বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারের পদ সোপান প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত চার স্তরের। অধ্যাপকরা চতুর্থ গ্রেড পেয়ে চাকরি জীবন শেষ করেন। মাউশি মহাপরিচালকের পদটি প্রথম গ্রেডের। চতুর্থ গ্রেডের অধ্যাপককে এই গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয়। মহাপরিচালক পদটি ছাড়া প্রথম গ্রেডের আর কোনো পদ নেই শিক্ষা ক্যাডারদের জন্য। এর আগে সরাসরি দ্বিতীয় গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হতো সিলেকশন গ্রেডের মাধ্যমে। ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড না থাকায় এখন সে সুযোগও নেই। চতুর্থ গ্রেডেই আটকে যান শিক্ষা ক্যাডাররা।

প্রশাসনিক ভারসাম্য রক্ষা এবং শৃঙ্খলার স্বার্থে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষা ক্যাডারে পদ সোপান তৈরির প্রস্তাব ২০১৯ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত হয়নি গেল দুই বছরে। ওই প্রস্তাবের দুই বছর পর গত ১৯ জুন প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় তৃতীয় গ্রেডের ৯৫টি পদ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশের ৯৫টি কলেজের অধ্যক্ষের পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় গ্রেড নেই। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলছেন- সরকারের উচ্চপর্যায়ে তদবির না করলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। সুনির্দিষ্ট করে পদ সোপান তৈরি না করলে আরও ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে শিক্ষা ক্যাডার।

২০১৯ সালের তথ্যানুযায়ী, দেশে শিক্ষা ক্যাডারদের বিষয়ভিত্তিক অধ্যাপকের অনুমোদিত পদ ৫২৭টি। এ ছাড়া অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন আরও চার শতাধিক, সহযোগী অধ্যাপক দুই হাজার ২০০টির বেশি, সহকারী অধ্যাপক পদ রয়েছে চার হাজার ৩০০টির বেশি। আর প্রভাষক পদ রয়েছে আট হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে মোট ক্যাডার পদ ১৫ হাজারের মতো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন...

মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা, জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

দখিনের সময় ডেস্ক: ভাগ্য ফেরাতে মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকেরা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না পেয়ে এসব শ্রমিককে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। হচ্ছেন...

আরও ৭ দিন স্কুল বন্ধ রাখার দাবি

দখিনের সময় ডেস্ক: ঘরে-বাইরে অসহ্য গরম, বাতাসে যেন আগুনের হলকা। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের...

স্বাস্থ্য খাতের চিত্র ভয়াবহ

আমাদের স্বাস্থ্য খাতের চিত্র কী? এক কথায় ভয়াবহ! এটি হচ্ছে আমজনতার কথা। তবে আমজনতার কথায় গুরুত্ব দেওয়ার ধারা অনেক আগেই গেছে হিমাগারে। এখন আর...

Recent Comments