দখিনের সময় ডেস্ক:
শিক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে কেবল আলোচনাই চলছে প্রায় ১১ বছর ধরে । আলোচনা-পর্যালোচনা পর্ব পেরিয়ে এটি চূড়ান্ত হবে কবে, তা কেউ জানেন না। জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের বড় একটি অনুষঙ্গ এই আইন। ১২ বছর আগে প্রণীত শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল ২০১৮ সালের মধ্যে। কিন্তু ২০২২ সালের অর্ধেক পেরিয়েও এর অধিকাংশই অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়নের পরপর ২০১১ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ২৪টি উপকমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর একটি ছিল শিক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের জন্য। ২০১৬ সালে শিক্ষা আইনের একটি খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাতে ‘ছায়া শিক্ষার’ নামে কোচিং ও প্রাইভেট টিউশনের বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া তাতে সহায়ক বা অনুশীলন বই প্রকাশেরও সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এ নিয়ে তখন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে খসড়াটি পর্যালোচনার জন্য ফেরত আনে মন্ত্রণালয়। এরপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে খসড়াটি চূড়ান্ত করার কথা জানানো হয়। সাবেক একজন সচিবকে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয় পর্যালোচনার জন্য। কিন্তু এখনো আইনটি চূড়ান্ত করা গেল না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে তারা শিক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন গত জুলাইয়ে। এখনো তা মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়নি।
এদিকে, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর আগে জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষা আইন হওয়া উচিত। না হলে শিক্ষানীতির আলোকে অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। তবে শিক্ষা আইনের নতুন খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর আগে আবারও সেটি জনগণকে জানানোর জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হোক। আর সেটি একেবারেই সম্ভব না হলে জাতীয় সংসদে পাঠানোর আগে হলেও যেন সেটি জনগণকে জানানো হয়।