বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের সদরে অন্দরে, চলছে দ্বিতীয় সংস্করণের কাজ

দখিনের সময় ডেস্ক:

স্বাধীনতা আন্দোলন-সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য দলিল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত  মনসুরুল আলম মন্টুর গ্রন্থ  ‘বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের সদরে অন্দরে।’  ২০০৬ সালে প্রকাশিত এই বইর দ্বিতীয় সংস্করের কাজ চলছে। লেখক জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে ‘বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের সদরে অন্দরে’ বইর দ্বিতীয় সস্করণ প্রকাশিত হবে।

উল্লেখ্য, রীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিক মনসুরুল আলম মন্টু পেশায় ব্যবসায়ী। ‍ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টে প্রশিক্ষণ শেষে মুজিববাহিনীর সদস্য হিসেবে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাদের আমাদের আগে মুজিব বাহিনীর যে গ্রুপটি বাংলাদেশে ঢুকেছিল তারা সবাই পাক সেনাদের হাতে ধরা পড়ে হন। একমাত্র বরিশালের আমবাগানের মফিজুল ইসলাম ঝন্টু পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন।

মনসুরুল আলম মন্টু পুস্তক রচনা করেছেন নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে। তার অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বইটিকে অসাধারণ উচ্চতা প্রদান করেছে। এই বইটি অগ্নিড়া দিনগুলো এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য দলিল হিসেবে এরই মধ্যে স্থান করেনিয়েছে। দ্বিতীয় সংস্করে বইটি আরো সমৃদ্ধ হবার পাশাপাশি বাড়বে কলেবরেও।

ছাত্ররাজনীতি থেকে বেড়ে উঠেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল আলম মন্টু। দেশের মানুষের দাবি আদায়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ- দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন তিনি। এ সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন একাধিকবার। রাজপথে তার মিছিলে গুলি হয়েছে। হানাদার বাহিনীর আক্রমণ থেকে বরিশাল রক্ষার অসম যুদ্ধে মৃত্যু দেখেন খুব কাছ থেকে। ভারত যাবার পথে পড়েছেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গানবোটের কবলে। সেবার ধরা পড়তে পড়তে সারেং-এর বুদ্ধিমত্তায় বেঁচে গেলেও রাজাকারদের হাতে ধরা পড়া থেকে আর বাঁচতে পারেননি। তবে সেবার প্রাণে বেঁচেছিলেন কৌশলে পালিয়ে এবং শুধু নিজের প্রাণ নয়, সতীর্থ সকলকে বাঁচিয়েছেন মনসুরুল আলম মন্টু। কাবু করেছিলেন রাজাকার দলকে।

নানা ঘটনার সংযোজন ও বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ ‘বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের সদরে অন্দরে’ গ্রন্ধের অনবদ্য প্রচ্ছদ তৈরী করেছেন ডা. গাজী সুলতান আমেদ।  দ্বিতীয় সংস্করণের সম্পাদনাসহ নানান বিষয়ও তিনি সহায়তা করছেন।  দিচ্ছেন নানা পরামর্শ।