দখিনের সময় ডেস্ক:
বহুমুখী বিশ্বে ব্রিকস জোটকে একটি বাতিঘর হিসেবে প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সময়ের সাথে সাথে ব্রিকস একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হবে।ব্রিকস সম্মেলনের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস সংলাপে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নিউ ডেপলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হিসেবে অংশ নেয় বাংলাদেশ। অন্যান্য বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাগিদ দেন বিশ্বজুড়ে শান্তি, ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতার প্রতিষ্ঠায় সকলকে দায়িত্বশীল হওয়ার। সন্ত্রাস, মানব পাচার, সাইবার অপরাধ ও অর্থপাচার প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। বহুত্ববাদী বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থা সংরক্ষণে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের তাগিদ দেন তিনি। পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আকাশ ও সামুদ্রিক সংযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক শান্তি নিশ্চিতে অস্ত্রের অস্ত্রের খেলা ও নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করতে হবে। সকল হুমকি, উস্কানি এবং যুদ্ধ পরিচালনার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। বিশ্বজুড়ে শান্তি, ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতার জন্য আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতির বিষয়ে শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের জানান, সার্বজনীন পেনশন চালুর কথা। সমস্ত লেনদেন অনলাইনে হচ্ছে। সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় দেশে অতি দারিদ্রের হার কমেছে। আমাদের সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য হল ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকার নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা এবং শান্তি-নির্মাণে নিয়োজিত হতে পেরে গর্বিত বোধ করি। মিয়ানমার থেকে ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করে, আমরা বুঝতে পারি যে আফ্রিকায় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোর কাঁধের বোঝা কতটা বহন করছে”। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ মহাদেশের সঙ্গে খাদ্য উৎপাদন, সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে দক্ষতা শেয়ার করতে প্রস্তুত রয়েছে।
Post Views:
67