• ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে গরু কোরবানি দিলে ভয়াবহ শাস্তি, উৎসায়িত করা হয় গোমুত্র পানে

দখিনের সময়
প্রকাশিত জুন ১০, ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ণ
ভারতে গরু কোরবানি দিলে ভয়াবহ শাস্তি, উৎসায়িত করা হয় গোমুত্র পানে
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:

দখিনের সময় ডেস্ক:

ভারতে ভেড়া, ছাগল, মহিষ কোরবানি দেওয়া যায়। কেউ গরু কোরবানি দিলে আছে কঠিন শাস্তি। কোনও কোনও রাজ্যে সাত বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধি আছে। এ হচ্ছে কাগজের আইন। বাস্তব চিত্র ভয়াবহ! প্রসঙ্গত, ভারতে গরুর মাংস খাওয়ার বদলে গোমুত্র পান করাকে উৎসায়িত করা হয়।

বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ‘গোরক্ষক বাহিনী’ নামে প্রাইভেট মিলিশিয়ার মতো গ্রুপ তৈরি হয়েছে। হরিয়ানা, রাজস্থান ইত্যাদি জায়গায় কেউ ট্রাকে করে গরু, এমনকি মহিষ নিয়ে গেলেও তারা ধাওয়া করে, মারে, লুটপাট করে, এমনকি খুনও করে। এদিকে বিজেপি সরকার ‘পরিবেশের নামে’ ভারতের অনেক স্থানে ‘স্লটারিং হাউজ’, মানে জবাই করার স্থানও বন্ধ করে দিয়েছে। সে সব জায়গার মানুষ শুধু মরগির মাংস খেতে বাধ্য হন।
ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হলেও ডব্লিউপিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ১৪ শতাংশ, অর্থাৎ ২০ কোটি মানুষ মুসলিম। ভারতের সিংহভাগ মানুষ হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মে গোহত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুতরাং, ভারতের মুসলিমরা কোরবানির ক্ষেত্রে মূলত ছাগল ও মহিষকেই প্রাধান্য দেন।
মজার বিষয় হচ্ছে,  নাগাল্যান্ডের মতো কিছু রাজ্য মুসলিমপ্রধান না হওয়া সত্ত্বেও সে সব স্থানে গরু জবাই করা যায়। এর কারণ, পূর্বদিকের ওই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী এবং খ্রিষ্টানরা ঐতিহ্যগতভাবেই গরুর মাংস খান। তাই ভারত সরকার সেখানে বাঁধা দেয় না। প্রসঙ্গত, ভারতের কয়েকটি রাজ্যে গরু জবাই করা আইনত বৈধ। এগুলো হল— অরুণাচল, গোয়া, কেরালা, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, দাদরা, নগর হাভেলি, দামান, দিউ ও পন্ডিচেরি। তবে এই রাজ্যগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম রয়েছে। এর বাইরে দেশটির সবখানে ‘গোহত্যা’ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
 উল্লেখ্য, গরু জবাই করার ক্ষেত্রে ভারতে আগে এত কড়াকড়ি ছিল না। ১০-১৫ বছর আগেও ভারতের কিছু কিছু প্রদেশে গরু, বিশেষ করে বৃদ্ধ গরু জবাই করা যেত। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গত ১০ বছরে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে।
খবর সূত্র: বিবিসি বাংলা