পুত্রবধুর সঙ্গে শ্বশুড়ের ইয়ে, ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে
দখিনের সময়
প্রকাশিত নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
গভীর রাতে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে। হত্যার পর বাবার মরদেহের পাশে বসে ছিলেন তিনি। মাত্র আড়াই মিনিটে সর্বমোট ১৭টি কোপ দেয়। মতিউরের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তার লাশের পাশে বসেই সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকে ফারুক। লোমহর্ষক মাদারীপুর জেলার শিবচরে। পুত্রবধুর সঙ্গে শ্বশুড়ের অবৈধ সম্পর্ক এর নেপথ্য কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানাগেছে, পছন্দের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়নি পরিবার। যার সঙ্গে বিয়ে করিয়েছে সেই মেয়ের সঙ্গে রয়েছে বাবার অবৈধ সম্পর্ক। একপর্যায়ে স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তবে এতকিছু মেনে নিতে পারেনি ফারুক। তাই বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। সেই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন করতেই বাবাকে নিয়ে কাজের সন্ধানে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের পঞ্চগ্রামে রসুন বপনের কাজ নেয়। রোববার রাতের বেলা বাবা-ছেলে খাবার শেষে এক সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতে যায়। রাত ১০টার পর বিছানায় শুয়ে সাবেক পুত্রবধূর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে বাবা মতিউর। এ সময় পাশের ঘরে বসে সিগারেট খাচ্ছিল ফারুক। বাবাকে হত্যার জন্য আগে থেকেই পাশের রুমে একটি কোদাল লুকিয়ে রেখেছিল ফারুক। অপেক্ষায় ছিল কখন তার বাবা ঘুমাতে যাবে সেই সুযোগের।
পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে ফারুক। মাত্র আড়াই মিনিটে সর্বমোট ১৭টি কোপ দেয়। মতিউরের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তার লাশের পাশে বসেই সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকে ফারুক। শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে বাড়ির মালিকের ছেলে ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং মতিউরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় ফারুককে চুপ করে বসে থাকতে দেখে বাড়ির মালিক শিবচর থানায় ফোন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে। এ ঘটনায় মতিউরের স্ত্রী কোহিনূর বেগম বাদী হয়ে তার ছেলেকে আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ফারুককে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিতে লোমহর্ষক বর্ণনা দেন বাবাকে হত্যাকারী ছেলে মো. ফারুক (২৭)।