Home অন্যান্য অপরাধ ও দূর্নীতি গুণধর পিআইও’র আলমারিতে বিপুল টাকা!

গুণধর পিআইও’র আলমারিতে বিপুল টাকা!

দখিনের সময ডেস্ক:

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থাকা আলমারি থেকে কয়েক লাখ টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চুরির অভিযোগে পিআইও রিয়াদ হোসেন তার কার্যালয়ের চার কর্মচারীকে থানায় নিয়ে গেছে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও পরদিন সকালে আবার চারজনকে থানায় ডাকা হয়।

কত টাকা খোয়া গেছে, তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি পিআইও রিয়াদ হোসেন । অর্থের উৎস সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট তথ্য তিনি দেননি। এদিকে ঠিকাদারদের একজন জানান, বিভিন্ন প্রকল্পের জুন ক্লোজিং-এ প্রকল্প সভাপতি, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যেদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করেছেন পিআইও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকাদাররা জানান, টেন্ডারের পে-অর্ডার হয় চেকের মাধ্যমে। ঠিকাদারের সঙ্গে সব লেনদেন হয় চেকে। পিআইওর কাছে এসব নগদ টাকা বৈধ নয়। এসব টাকা তার হয়ে কালেকশন করতেন তার অফিস সহকারী আবদুল বাকের। পরে বাকেরের সঙ্গে পিআইওর মনোমালিন্য হয়। এর জেরে টাকা গায়েবের ঘটনা বা নাটক হয়ে থাকতে পারে।

ওসি জানান, পিআইও রিয়াদ তার অফিস সহকারী আবদুল বাকেরসহ চারজনকে নিয়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে থানায় হাজির হন। তিনি অভিযোগ করেন, কার্যালয়ে তার কক্ষের আলমারি থেকে কয়েক লাখ টাকা গায়েব হয়েছে। এই চার কর্মচারী টাকা চুরি করেছেন। ওসি বলেন, ‘রিয়াদ বলেছেন, ঠিক কত টাকা ছিল সে হিসাব তার নেই। কখনো বলেন, ৭ লাখ টাকা, কখনো ১০ লাখ টাকা। রিয়াদ ও চার কর্মচারীকে আলাদাভাবে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কেউই পরিষ্কার কোনো তথ্য দেননি। কারও সঙ্গে কারও কথাও মেলেনি। এ কারণে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার তাদের থানায় আনা হয়।’

ওসি মোসলেহ উদ্দিন আরও বলেন, টাকা চুরির অভিযোগ করলেও রিয়াদ হোসেন কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ দিতে রাজী হননি। এত নগদ টাকা কোথা থেকে এলো জানতে চাইলে রিয়াদ দাবি করেন, এগুলো বিভিন্ন লাইসেন্স ও কালেকশনের টাকা। তবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট তথ্য তিনি দেননি।

এসব বিষয়ে জানতে পিআইও রিয়াদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। এদিকে, পিআইওর অফিস সহকারী আবদুল বাকেরের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, সোমবার বিকেলে রিয়াদ হোসেন নিজেই তাদের বাড়ি গিয়ে টাকা খোঁজার নামে তল্লাশি চালান। এ সময় ঘরের আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়। এরপর জানতে পারেন যে, তার স্বামীকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

এক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, পিআইও রিয়াদ ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল বা বিলের চেকে সই করেন না। কয়েক দিন আগে কয়েকটি কাজের বিলের চেকে সই করার জন্য কয়েকজনের কাছ থেকে তিনি ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। তার মূল কর্মস্থল রামগতি উপজেলায়। এখন কমলনগরের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। দুই উপজেলার ঠিকাদার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তার কাছে জিম্মি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার

দখিনের সময় ডেস্ক: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে টিকটক। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক। যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের...

প্রতিদিন খেজুর খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুস্বাদু কোনো খাবার প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হতে পারে খেজুর।...

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

Recent Comments