বানারীপাড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল চেষ্টার বানোয়াট অভিযোগ

0
139

সংবাদদাতা ইলিয়াস শেখ:

বরিশালের বানারীপাড়ায় ১২ সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৫টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারী) সকালে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর গৌতম সমদ্দার এবং উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেবকুমার সরকারের নেতৃত্বে ৫টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের পশ্চিম তেতলা গ্রামে পরিদর্শনে যান। এসময় তারা রতন ঘরামী,সুমন রায় ও সুব্রত শিকদারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে বিকাল ৪টায় বানারীপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সরেজমিন পরিদর্শনে তারা যা জানতে ও দেখতে পেরেছেন তা বিশদভাবে তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌতম সমদ্দার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২৫ ও ২৬ জানুয়ারী মঙ্গল ও বুধবার বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় বানারীপাড়ায় ১২টি সংখ্যালঘু পরিবারের বসতভিটাসহ সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ শিরোণামে প্রকাশিত সংবাদ দেখে আমরা আজ ২৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার  সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই।

সেখানে ১২টি পরিবার নয়, তিনটি পরিবারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। এরমধ্যে রতন ঘরামী এগ্রো ফার্মের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমের কাছে স্বেচ্ছায় ৫০ শতক সম্পত্তি ১৪ লাখ টাকায় বিক্রির জন্য বায়না করে বলে জানতে পারি। ২৪ জানুয়ারী ওই সম্পত্তি তার লিখে দেওয়ার কথা ছিল। সেজন্য রতন ঘরামী  তার নিজের ছবি, আইডি কার্ড, জমির দলিল ও রেকর্ড পরচাসহ যাবতীয় কাগজপত্র স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বেপারীর কাছে দেন। দলিল লেখা সম্পন্ন হওয়ার পরে তা লিখে দিতে রতন ঘরামী হঠাৎ তালবাহানা শুরু করে। এর কারন রেকর্ডে ৩১.৫০ শতক সম্পত্তি থাকায় সে ৫০ শতক সম্পত্তির ওই ১৪ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বেপারী ৩১.৫০ শতক সম্পত্তির মূল্য বাবদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে রতন ঘরামীর বাড়ি যায়। মূলত ওই সম্পত্তির  বাজারমূল্য এর অর্ধেকেরও কম। তারপরেও সে ১৪ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। এদিকে রতন এর আগে ওই সম্পত্তি সুমন রায়দের কাছ থেকে বিভিন্ন দাগে ক্রয় করে। যার মধ্যে সুমন রায়দের বাড়ির দাগও উল্লেখ ছিল। ফলে সুমন রায়দের পরিবারের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি হয় রতন এমপির কাছে এগ্রো ফার্মের জন্য ওই সম্পত্তি বিক্রি করলে তাদের বসতবাড়ি বেদখল হয়ে যাবে। এনিয়ে রতন ঘরামী ও সুমন রায়দের মধ্যে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সুমন রায় তার স্বার্থ হাসিল করার অসৎ উদ্দেশ্যে একটি স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী মহলের কু-প্ররোচনায় সহজ-সরল রতন ঘরামীকে বরিশালে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here