দেশের প্রশাসনের হৃদপিন্ড হিসেবে খ্যাত রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সচিবালয়ের একটি ভবনে মধ্যরাতে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ইউনিট বাড়ানো হয়।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বিষযটিকে নাশকতা বলেই ধারণা অনেকের। তবে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ারের ডিজি। জানাগেছে প্রথমে রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর আসে। সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে। এর কয়েক মিনিটের মাথায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
দেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ভবনেই বসেন বৈষশ্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা ও উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া।
৬ ঘণ্টা পর সচিবালয়ের
আগুন নিয়ন্ত্রণে
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ৬ ঘণ্টার বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগুনের সূত্রপাত নিয়ে
নিশ্চিত হওয়া যায়নি
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুনের সূত্রপাত নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলেনে তিনি এ কথা বলেন।
এক ফায়ার সার্ভিস
কর্মীর মৃত্যু
আগুন নেভানোর সময় ট্রাকচাপায় আহত হওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফায়ার ফাইটারের নাম মো. সোহানুজ্জামান নয়ন। তিনি তেজগাঁও ফায়ার টিমের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্য। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। তিনি দুই বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া আগুন নেভানোর সময় আরেক ফায়ার কর্মী পা কেটে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় কাভার্ডভ্যান চালককে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, গণপূর্ত ভবনের সামনে দিয়ে ওই কাভার্ডভ্যানচালক দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাচ্ছিল। পরে ব্যারিকেড দিলে চালক কাভার্ডভ্যান থামান। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তেজিত মানুষজন চালককে মারতে উদ্যত হন, কিন্তু সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।