অবশেষে আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। সেখান থেকেই, খালেদা জিয়া সরাসরি যাবেন লন্ডন ক্লিনিকে। প্রায় ৭ বছর পর চিকিৎসার জন্য সফরে গিয়ে আবার দেখা হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জিয়া পরিবারের মা-ছেলের। কারাবন্দি হওয়ার আগে সবশেষ ২০১৭ সালে লন্ডন সফরে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। তখনই শেষবার সরাসরি দেখা হয়েছিল মা-ছেলের।
হৃদরোগ, লিভার, ফুসফুস, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এসবের মধ্যে লিভার, কিডনি ও হৃদরোগকে সবচেয়ে ঝুঁকির কারণ মনে করেন তার চিকিৎসকরা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বারবার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর ইচ্ছা ও চেষ্টা করলেও তা পারেনি খালেদা জিয়ার পরিবার।
অনেকটা বাধ্য হয়ে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে, পোর্টো সিস্টেমেটিক অ্যানেসটোমেসির মাধ্যমে দেয়া হয় লিভারের চিকিৎসা। তখনও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা জার্মানির হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তির সুপারিশ করেছিল মেডিকেল বোর্ড। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাজা। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে কারাগারে যেতে হয় খালেদা জিয়াকে। এরপরই তার স্বাস্থ্যের অবনতির কথা জানাতে থাকেন নেতা এবং পরিবারের সদস্যরা। দুই বছর পর কোভিড মহামারীর সময় আওয়ামী লীগ সরকার তাকে কারামুক্তি দিলেও শর্তজুড়ে দেয় তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না।