বিএডিসির খাল খনন, চাষাবাদের আওতায় আড়াই হাজার একর জমি
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ

বরিশালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খনন করা খালটি পুনঃখনন করছে বিএডিসি। খনন শুরুর আগে ও পরের দৃশ্য। খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমন।

# বরিশাল অঞ্চলে ভরাট হয়ে যাওয়া সব
খাল পর্যায়ক্রমে খনন করা হবে: জেলা প্রশাসক
# দুই বছরে কৃষিজমিতে সেচ সুবিধা বাড়াতে
৬৫ কিলোমিটার খাল খনন করেছে বিএডিসি
দখিনের সময় রিপোর্ট:
বরিশালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খনন করা প্রায় বিলিন হয়ে যওয়া খালটি পুনঃখনন করছে বিএডিসি। বিএডিসির এই খানকাটা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমন। এ সময় তিনি বলেন, বরিশাল অঞ্চলে ভরাট হয়ে যাওয়া সব খাল পর্যায়ক্রমে খনন করা হবে। এতে জলাবদ্ধতা কমবে, সেচ সুবিধা বাড়বে এবং কৃষকরা উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে লাভবান হবেন।
সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের বিলের পোল এলাকা থেকে নাপিতবাড়ি পর্যন্ত কৃষিজমির মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া দুই কিলোমিটার ‘স্বনির্ভর খাল’ পুনঃখননের কাজ শুরু হয়েছে ২ ডিসেম্বর। একই সঙ্গে ১২ বছর আগে ভেঙে পড়া কালভার্ট পুনঃনির্মাণ কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। এরফলে জলাবদ্ধতা নিরসন ও খালে পানি প্রবাহ ফিরে আসবে এবং পুনরায় চাষাবাদের আওতায় আসবে দীর্ঘদিন অনাবাদী থাকা আড়াই হাজার একর কৃষিজমি।
প্রসঙ্গত, বরিশাল-ভোলা-ঝালকাঠি-পিরোজপুর অঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বরিশাল বিএডিসি’র উদোগে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি ৩০ ফুট চওড়া ও ৯ ফুট গভীর করে খনন করা হবে। একইসঙ্গে সড়কে নির্মাণ করা হবে নতুন কালভাট। বিএডিসি’র তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে কৃষিজমিতে সেচ সুবিধা বাড়াতে ৬৫ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। চলতি বছর আরও ৩০ কিলোমিটার খাল খননের লক্ষ্য রয়েছে। এতে ৩০ হাজার হেক্টর জমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদ মুরাদ জানান, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০০ কিলোমিটার খাল খননের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বরিশাল অঞ্চলের খাদ্য উৎপাদন সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়বে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন হলে শুধু চরকাউয়া ইউনিয়নেই বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।
যা বলেন
কৃষকরা
স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম মিয়া জানান, সদর উপজেলার দিনার, নয়ানি, চর আইচা ও পূর্ব চরকাউয়াসহ চার-পাঁচটি গ্রামের দুই হাজারের বেশি কৃষক বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “মীরাবাড়ী সড়কের ভাঙা কালভার্টটি পুনর্র্নিমাণ ও খাল খননের ফলে সেচ সুবিধা বাড়বে। বাড়তি মাটি দিয়ে সড়ক সংস্কারও করা হবে; এতে কৃষকরা সরাসরি উপকৃত হবেন।” কৃষক আজাহার বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খালটি খনন করেছিলেন। পুনঃখননের ফলে অনাবাদী জমি আবারও কৃষির আওতায় ফিরে আসবে।’
Post Views: ৪৮