দখিনের সময় ডেক্স:
২০১৯ সালের ২০ জুলাই বাড্ডায় স্কুল প্রাঙ্গণে তাসলিমা বেগমকে ‘ছেলেধরা’ গুজবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পর তাসলিমার ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
তাসলিমা বেগম ওরফে রেনুকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফাতিমা ইমরোজ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় আজ ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজন কারাগারে আছেন। তাঁরা হলেন হৃদয় ইসলাম মোল্লা ওরফে ইব্রাহীম ওরফে নয়ন মোল্যা, সোহেল রানা ও মহিউদ্দিন। বাকি ১০ জন জামিনে আছেন। অভিযোগ গঠনের সময় আসামিরা নিজেদের নিরপরাধ দাবি করেন। আদালত আগামী ১ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন ।
গত ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাসলিমা তাঁর চার বছরের মেয়েকে ভর্তি করানোর বিষয়ে খোঁজ নিতে যান। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন নারী তাঁকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহ করেন। দ্রুত এই গুজব বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশ থেকে বিভিন্ন বয়সী কয়েক শ নারী-পুরুষ স্কুল প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন। তাঁদের কবল থেকে রক্ষা করতে তাসলিমাকে স্কুলের দোতলায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে রাখা হয়। এর মধ্যে কয়েকজন বিদ্যালয়ের কলাপসিবল গেট ভেঙে দোতলায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে তাসলিমাকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামিয়ে পেটাতে শুরু করেন। আধঘণ্টা নির্মম নির্যাতনের পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তাসলিমা।