বি এম মনির হোসেনঃ-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দাফনের এক মাস পরে আদালতের নির্দেশে ম্যাজিষ্ট্রেট, চিকিৎসক ও পুলিশের উপস্থিতিতেতে উপজেলা সদরের ব্যবসায়ি আঃ মালেক হাওলাদারের লাশ বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে নিয়োগকৃত ম্যাজিষ্ট্রেট ও আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হাশেম, চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম, বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডোম বিজয় ও মামলার তদন্তকারী অফিসারের উপস্থিতিতে আঃ মালেক হাওলাদারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ উত্তোলনের পরে ওই দিনই ময়না তদন্তরে জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।ওসি তদন্ত মাজহারুল ইসলাম জানান, উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা সদরের ব্যবসায়ি আঃ মালেক হাওলাদার গত ৮মার্চ রাতে মারা গেলে পরদিন সকালে যথাযথ ধর্মীয় রীতি মেনে তার লাশ দাফন করে পরিবারের লোকজন।
আঃ মালেক হাওলাদারের একমাত্র মেয়ে জামাতা একই গ্রামের আইয়ুব আলী পাইকের ছেলে আসাদুল হক পাইক ওরফে বুলু তার শ্বশুর আব্দুল মালেক মিয়ার মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বরং তাকে তার পরিবার সদস্যরা হত্যা করেছে এমন অভিযোগে গত ১৫মার্চ বরিশাল অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আঃ মালেক হাওলাদারের তিন পুত্র, তাদের স্ত্রী, ছেলেসহ সাত জনকে আসামী করে দঃ বিঃ ৩০২/ ৩৪ নালিশী মামলা দায়ের করেন।
১৮ নং আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আমিনুল ইসলাম আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গন্য করে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করলে ১৭মার্চ থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন, যার নং ৪ (১৭.৩.২১)। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলামকে।
আঃ মালেক হাওলাদারের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করতে আধালতের নির্দেশে আইনী প্রকৃয়ার অনুসরণের মাধ্যমে দাফনের প্রায় ১মাস পরে বুধবার কবর থেকে তাল লাশ উত্তোলন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত)মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, লাশ উত্তোলনের পরে বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।