দখিনের সময় ডেক্স:
উপজেলা পরিষদের চত্ত্বরে ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে একটি ছাগলকে ৫দিন আটকে রাখার পর ২ হাজার টাকা জরিমানা করে অবশেষে বাজারে বিক্রি করেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন। ছাগলের মালিক ছাগল ফেরত নেওয়ার জন্য ৫দিন ধরে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট ধর্ণা দিলে তাকে কোন পাত্তা না দিয়ে বরং ছাগলের মালিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাড়িয়ে দেয়। গুণধর এই ইউএনওকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।
আদমদীঘির উপজেলা পরিষদের সীমানার নিকটবর্তী বসবাসরত জিল্লুর রহমান একজন সরকারি চাকুরিজীবি ছিলেন চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্তর পর বর্তমান ঢাকায় একটি কোম্পানিতে কাজ করছেন। তার স্ত্রী সাহেরা খাতুন সংসার চালাতে মুরগী ও ছাগল পালন করে অতি কষ্টের মধ্যে জীবন-যাপন করেন। গত ১৭ মে দিনে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খায়। এঘটনায় ছাগলটি আটক করে রাখে ইউএনও। ছাগলের মালিক সাহারা বেগম ছাগলটি দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজির পর দেখতে পায় উপজেলা চত্ত্বরের ভিতর ছাগলকে বেধে রেখে নির্বাহি অফিসারের সিকিউরিটি গার্ড এক আনসার সদস্য ঘাস খাওয়াচ্ছে। ছাগলের মালিক ছাগল নিতে চাইলে তাকে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয় আনসার সদস্য। এবং বলে ছাগলের দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল ছেড়ে নিয়ে যান।
এদিকে ছাগলের মালিক জরিমার টাকা জোগার করতে না পারায় আবশেষে ইউএনও গত ২২ মে শনিবার ছাগলটি বিক্রি করে দেয় এবং ছাগলের মালিককে খবর দেয় যে ছাগল বাজারে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে জরিমানার ২ হাজার টাকা বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকা নিয়ে আসেন। এই খবর জানার পর থেকে ছাগলের মালিক বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিয়ে কোনও সুফল পায়নি। এ ঘটনাটি ২৭ মে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর অবশেষে উপজেলা সীমা শারমীনকে স্থানীয় মন্ত্রালয়ে বদলি করা হয়।