• ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুদকের জালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ২০:০২ অপরাহ্ণ
দুদকের জালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতি থাকা আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে নিজ ভবন সংলগ্ন এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধনের নামে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু অভিযোগ নয়, যাচাই-বাছাই শেষে তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তও নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের ইতিহাসে সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রথম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দুদকের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তাকে সাজাও ভোগ করতে হয়েছে। আবদুল হামিদ হচ্ছেন দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি, যিনি দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মুখোমুখি হচ্ছেন।
জানা গেছে, রাজধানীর অভিজাত এলাকা নিকুঞ্জের লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের তিন তলাবিশিষ্ট ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে। যেখানে তিনি রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষে উঠেছিলেন। যদিও ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর সেই বাসা ছেড়ে দেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, আবদুল হামিদ তার ওই আবাসিক ভবনের দুই পাশের রাস্তা হাঁটার (ওয়াকওয়ে) জন্য বাঁধিয়েছেন। নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি ডেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে শুরু করে খালসংলগ্ন রাস্তায় অত্যাধুনিক ল্যাম্প পোস্ট সবই তৈরি করা হয়েছিল তার সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে। প্রকল্পের অংশ না হলেও, পূর্বাচল নতুন শহর ঘিরে একশ ফুট চওড়া খাল খনন প্রকল্পের আওতায় খালটি সংস্কার করা হয়। রাজউকের তত্ত্বাবধানে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। যেখানে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প বাবদ আবদুল হামিদ রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এমন অভিযোগে এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান টিম কাজও শুরু করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুদক কখনোই ব্যক্তির পরিচয় দেখে তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে না। এখানে দেখার বিষয় হলো, অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতা এবং তা দুদকের তফসিলভুক্ত কি না। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যেকোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনে ১০ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়ে ২০২৩ সালের এপ্রিলে আবদুল হামিদ সপরিবারে নিকুঞ্জের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এরপর এলাকাটি রীতিমতো নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া সাধারণের প্রবেশে ব্যাপকভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। তবে পট পরিবর্তনের পর আলোচিত বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত হয়ে রয়েছে।