দখিনের সময় ডেক্স:
ইরাক থেকে চাপের মুখে সরে যেতে হচ্ছে আমেরিকাকে। এরই মধ্যেই ইরাকি ভূখণ্ডে অবস্থিত অনেকগুলো মার্কিন ঘাঁটি ইরাকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের তৎকালীন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া জোরেসোরে এগুচ্ছে। জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার কারণে পুরো মধ্যপ্রাচ্য মার্কিন সেনাদের জন্য বিপজ্জনক স্থান পরিণত হয়েছে।
সময়ের ব্যবধানে সে বিপদ বাড়বে। ফলে মার্কিন সেনাদের বহু সংখ্যক কফিন দেশে নেয়ার চেয়ে জীবিত সেনাদের দেশে ফেরত নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ -বিষয়টি ট্রাম্প প্রশাসন আগে থেকেই মনে করে আসছে। মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার কিংবা ঘাঁঁটি হস্তান্তরের খবর তাদের জন্য অপমানের। এজন্য চেপে রাখতে চায় খবর। মার্কিন সেনাদের দখলে থাকা আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরাকের মাটি মার্কিনীদের জন্য অনেক বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। সেকথা বুঝতে পেরেই সরে যাচ্ছে তারা কিন্তু কাউকে তা জানতে বা বুঝতে দিতে চায় না।
ইরানি জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরাক সম্পূর্ণভাবে মার্কিন সেনাদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এই নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে যেমন ইরানের আরো পাল্টা হামলার সম্ভাবনা থেকে তেমিন সৃষ্টি হয়েছে ইরাকের ভেতরে গড়ে ওঠা বহু প্রতিরোধকামী সংগঠনের কারণে। এসব সংগঠন চূড়ান্তভাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এবং তাদের প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশের সরকার ও জনগণের সমর্থণ রয়েছে। এছাড়া, ইরাকের রাজনৈতিক সরকার ও জাতীয় সংসদও চায়- ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হোক।
তাদের এই চাওয়ার মধ্যে ইরানের চাওয়ার একটা প্রতিফলন আছে। ফলে মার্কিন সেনারা ইরাক থেকে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু সেকথা প্রচার করতে পারছে না মূলত দুই কারণে। এর প্রথমটি হচ্ছে তাদের জন্য এই চলে যাওয়াটা অপমানের, ফলে গোপন রাখতে চাইছে তারা। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে- ইরাকে তাদের উপস্থিতি ও অবস্থান দুর্বল বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে বাকি সেনাদের জীবন অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।