দখিনের সময় ডেক্স:
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না। প্রতিবেদনে ১২ দফা সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।
রিপোর্ট হাতে পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, পুলিশি তদন্তের কারণে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা যাবে না। তবে আদালত চাইলে তা সেখানে উপস্থাপন করা হবে।
সিনহা রাশেদকে গুলি করে হত্যার দুইদিনের মাথায় ২ আগস্ট চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হলেও তিন দফা তা বাড়ানো হয়। ঘটনা জানতে মামলার আসামি ছাড়াও তদন্ত কমিটি কথা বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে। ৩৫ দিনের তদন্ত শেষে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ে।
তদন্ত কমিটি মোট ৬৮ জনের বক্তব্য নিয়েছে। এসব বক্তব্য এবং প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্ত যাচাই–বাছাই ও বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনাটি কোনভাবেই তাদের ভূমিকাকে ম্লান করবেনা। কারণ আমরা দেখেছি তারা পরিশ্রম করে। আমাদের রিপোর্টে উৎস, কারণ ও সুপারিশ প্রদান করেছি। আমি আমার সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তারা অত্যন্ত পরিশ্রম করেছে।‘
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিলো তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানায় তার পরিবার। পরে পুলিশ দাবি করে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি করা হয়েছে রাশেদকে।