দখিনের সময় ডেস্ক
ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানোর বিশেষ আইনটি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আইনকে ‘দায়মুক্তি’ উল্লেখ করে ফখরুল অভিযোগ তোলেন, ‘এই আইনের বলে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লাগামহীন দুর্নীতি করে জনগণের জন্য সঙ্কট তৈরি করেছে।’
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ ঘোষণা দেন। ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে আমরা বিদ্যুতের এই সমস্যার সমাধান করব। আশার বাণীটা বলি, আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনসহ সব কালা-কানুন বাতিল করব। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কোম্পানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করা হবে। স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলত আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও অন্যান্য কাজ সম্পাদন করা হবে।’
২০০৯ সালে বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত বাড়াতে আইন করে আওয়ামী লীগ সরকার। সেই আইনের অধীনে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থাপিত হয়।এই আইনের একটি ধারায় বলা আছে- ‘এই আইনের অধীন কৃত, বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।’
বিদ্যুতে সঙ্কটের জন্য সরকারি নীতিকে দায়ী করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘১৯টি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট চালুর দুই-তিন বছর পর বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও প্রয়োজন ছাড়াই এখনো চালু আছে। বেশকিছু রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি ট্যাক্স বাবদ বিপুল অর্থ নিয়ে যাচ্ছে।বিদ্যুৎ ছাড়াই সরকারকে এই পর্যন্ত ৯০ হাজার কোটি টাকার গচ্ছা দিতে হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব ব্যবসায়ীদের পকেটেই গেছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। গত ১২ বছরে ক্যাপাসিটি ট্যাক্স বাবদ গেছে প্রায় ৮ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গত তিন বছরেই গেছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা।’