দখিনের সময় ডেক্স:
সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যাত্রী সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্তের পর রাজধানীতে দ্বিতীয় দিনের মত বাস সঙ্কট ও ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি ও ক্ষোভ চলছে ।
অফিসগামী যাত্রীদের রাস্তায় নেমে ভুগতে হয়েছে আগের দিনের মতই। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সকালে ক্ষিলখেতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভও করেছেন।তাদের অভিযোগ সরকারের বিধিনিষেধের কথা বলে ‘কৃত্রিম সঙ্কট’ তৈরি করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এছাড়া আদায় করা হচ্ছে ‘দুই থেকে তিনগুণ’ ভাড়া।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেওয়ার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করার পর বুধবার থেকে অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সকল অফিস-আদালত, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে কম যাত্রী পরিবহনের এ নির্দেশনায় রাজধানীবাসী বিপাকে পড়েছে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অফিসগামী যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে না পেরে ক্ষোভে সকাল ৯টার দিকে খিলক্ষেতে রাস্তা অবরোধ করলে পুরো বিমানবন্দর সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়। কুড়িল ফ্লাইওভার-বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।
পুলিশ জানান, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাসগুলো অর্ধেক বেশি যাত্রীর তুলছে না। এর ফলে অনেক অফিসগামী যাত্রী বাসে উঠতে পারছেন না। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে খিলক্ষেত ওভার ব্রিজের নিচে রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেন।”
এছাড়া রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাত্রীরা জানান – “ভাড়া বেশি নিলেও উঠতে হয়”।