দখিনের সময় ডেক্স:
একটি রিসোর্টে আজ শনিবার বিকেলে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘেরাও করে রাখা হয়। পুলিশ বলছে, একজন নারীসহ মামুনুল এখানে অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন, তাঁর কক্ষটি ঘেরাও করেন। আর মামুনুল হক বলছেন, অবকাশযাপনে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ আসলে কিছু লোক তাঁকে নাজেহাল করে।
সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মামুনুলকে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্ট নামের ওই অবকাশযাপন কেন্দ্রটিতে ভাঙচুর চালিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায় হেফাজতের একদল নেতা–কর্মী এবং মাদ্রাসাছাত্র । তখন কক্ষের ভেতর মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ।
তখন সেখানে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদসহ সোনারাগাঁ থানার কর্মকর্তারা । মামুনুলকে ছিনিয়ে নিতে বিপুল সংখ্যক হেফাজত নেতা–কর্মীকে মিছিল নিয়ে মোগড়াপাড়ার দিকে যেতে দেখা যায়।
এর আগে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান জানিয়েছেন, রিসোর্ট এ মামুনুল হক একজন নারীকে নিয়ে উঠেছেন, এই খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী তাঁর কক্ষটি ঘিরে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশও আসে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এখানে রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসেছেন।
মামুনুলকে ঘেরাওয়ের খবরে বিকেলে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ‘রয়েল রিসোর্ট’ নামে ওই রিসোর্ট এ যান। সেখানে মামুনুল সংবাদকর্মীদের বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অবকাশ যাপনে তিনি ওই রিসোর্টে যান। সেখানে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে।
মামুনুল বলেন, ‘কিছু মাস্তান প্রকৃতির লোকেরা এসে আমাকে আমার ওয়াইফসহ নাজেহাল করেছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শনিবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে যান। জাদুঘর ঘুরে দেখে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ওই রিসোর্টে যান।
মামুনুল বলেন, ‘আমার বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা এখানে একটু বিশ্রামের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক এসে আমাকে আক্রমণ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
স্থানীয় আলেমদের কাউকে জানিয়ে তিনি এখানে এসেছেন কি না, জানতে চাইলে মামুনুল বলেন, ‘না, আমি জানাইনি। যেখানে যাই মানুষজন ভিড় করে। এ জন্য আমি একটু আলাদা করে এসেছিলাম।’
এদিকে মামুনুল হক তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রাত পৌনে ৯টার দিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, আমি নিরাপদে আছি! বিভ্রান্ত হবেন না এবং কেউ কোনো গুজবে কান দিবেন না!’