স্টাফ রিপোর্টার ॥
আজও করোনায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। বিগত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১২ জন মারা গেছেন, এর ভিতরে পুরুষ ৭৫ জন এবং নারী ৩৭ জন।এর আগের তিন দিনে যথাক্রমে ১০২, ১০১, ১০১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছিল। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ২৭১ জন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ পর্যন্ত দেশে মোট ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০ হাজার ৪৯৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ২১ হাজার ৩০০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪ হাজার ১৫২ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ৯ হাজার ৪১৮ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৯ হাজার ৪৩৭ জন। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৮৬২ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৮ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ কোটি ৫৩ লাখ এক হাজার ৫৮১ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কোনো দেশে নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পরে গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।