দখিনের সময় ডেক্স:
ভারত ফেরত বাংলাদেশীদের কোয়ারেন্টাইনে হিমশিম খাচ্ছে যশোর প্রশাসন। যশোর ও বেনাপোলের ২৯টি আবাসিক হোটেলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানো হয়েছে। অনেকের দেহে মিলছে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট।
হোটেলগুলোসহ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৯৩৬ জন ভারত থেকে আসা বাংলাদেশীরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া, যশোরের আশপাশের চার জেলার হোটেলগুলোও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝিনাইদহ ও নড়াইল।
ভারতে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন। এ তালিকা প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে। সেইসাথে অনেকের দেহে মিলছে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ভারত থেকে যত লোক ফেরত আসার কথা আমরা চিন্তা করছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি আসছে। বেনাপোলের হোটেলগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। যে কারণে এখন যশোর শহরের হোটেল মালিকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে রিক্যুইজিশন করা হয়েছে। তিনি জানান, হোটেলের মালিকরা ভারতফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বল্প খরচে থাকার ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছেন। এসব হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বেনাপো ইমিগ্রেশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী ,২৬ থেকে ৩০ এপ্রিল শুক্রবার রাত পর্যন্ত বোনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ৯৩৬ জন। এরমধ্যে শুক্রবারই ফিরেছেন ২৪০ জন। ভারত ফেরত প্রত্যেককে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক সেলফ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। যা নিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগসহ জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক এসব মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে গিয়ে জেলা প্রশাসন যশোরের প্রায় সব আবাসিক হোটেল রিক্যুইজিশন করেছে। এরমধ্যে তারকা হোটেলগুলোও বাদ পড়েনি।