• ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা হবে এক সপ্তাহের মধ্যে

দখিনের সময়
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ১৯:৪০ অপরাহ্ণ
সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা হবে এক সপ্তাহের মধ্যে
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
আগামী এক সপ্তাহের মধো সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। বুধবার (২৯ জানুয়ারি ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালায় সুপারিশ করা হয়েছে একজন সাংবাদিক কমপক্ষে ২০ বছর সাংবাদিকতা যুক্ত থাকতে হবে অথবা সাংবাদিকতার অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তিরা ফ্রিল্যান্সার কার্ড পাবে। আগে কার্ড ইস্যু করতো প্রধান তথ্য কর্মকর্তা। এবার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে যে কমিটি হবে তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।  তবে কোনো সাংবাদিক কার্ড না পেলে সে আপিল করতে পারবে। আপিল বোর্ডে জাতীয় পর্যায়ে পত্রিকার সম্পাদক, বিচারপতিসহ বিভিন্ন সেক্টরের লোকজন থাকবে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন,‌ নীতিমালার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী একটি মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য যা যা করার দরকার গঠিত কমিটিতে সুপারিশ করা হবে। কমিটির সুপারিশের পর তথ্য মন্ত্রণালয়, সাংবাদিক প্রতিনিধিসহ সর্বোচ্চ বডি সেই নীতিমালা চূড়ান্ত করবে। তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের‌ অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা বেশ কিছু ধারায় আপত্তিকর শব্দ ও‌ বিধান রয়েছে। সেগুলো বাতিল করার সুপারিশ করবে। এরমধ্যে ছিল সরকারের উন্নয়ন প্রচার করতে হবে। সেই শব্দ মুক্ত স্বাধীনতা সাংবাদিকতার পরিপন্থি। এই শব্দ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে। তিনি বলেন, সর্বশেষ নীতিমালায় বলা ছিল সাংবাদিকদের বিদেশ গেলে সরকারের কিছু সংস্থাকে জানিয়ে যেতে হবে। এটা চরম অবমাননাকর। সেটা বাতিল করার সুপারিশ করা হবে। আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সার্কুলার অনুযায়ী কার্ড দেওয়ার যে বিধান রয়েছে সেটি বাতিল করে পত্রিকায় সাংবাদিক অনুযায়ী ৩০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১৫ জন যেটি আগে হয় সেভাবেই কার্ড প্রদান করা হবে।
জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে জেলা থেকে তাদেরকে কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে। আগের নীতিমালায় স্থায়ী ও‌ অস্থায়ী দুই ধরনের কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। এবার একটি কার্ড দেওয়া হবে। সেটির মেয়াদ তিন বছর মেয়াদ হবে।  আগে ফৌজদারি মামলা হলেই প্রথম তথ্য কর্মকর্তা অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করতে পারতো। এখন কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলেই তার কার্ড বাতিল হবে না যতক্ষণ না তার বিরুদ্ধে মামলার রায় না হবে। তবে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জশিট হলে কমিটি তার কার্ড স্থগিত করবে। আবুল কালাম বলেন, ১৬৭ জনের সাংবাদিকের কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জনের কার্ড পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন।