প্রায়ই গণমাধ্যমের প্রধান খবর, ‘রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা’। কথায়-কথায় একাধিক দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেন। সর্বশেষ গত রোববার(২৬ জানুয়ারি) রাতের আন্দোলন রূপ নেয় সংঘর্ষে। এমনকি, রাজপথে আন্দোলনরত কলেজ ছাত্রদের মুখোমুখি দাড়াবার মতো অবাঞ্চিত কান্ড করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র।
ওই ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রায় আট বছর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রাজধানীর সাতটি বড় সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করা হয়। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয় সেই উদ্দেশ্য তো পূরণ হয়নি উল্টো নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘ইগো প্রবলেম’ তৈরি করেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন। যার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ গত ২৬ জানুয়ারি রাতভর চলা সংঘর্ষ। কেন এই সংঘর্ষ? আর কেবল সংকট নয়, বরং উল্লেখিত সাত কলেজ সরকারের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
# আগামী কাল, ‘সংকটের মূলে আওয়ামী দুই ভিসির দ্বন্দ্ব’