সাত কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, তারা এখন স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়হীনতায় ভুগছেন। পরিচয় দিতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণার অপ্রতুলতার পাশাপাশি রয়েছে বিভাগভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের সংকট। এ ছাড়া সক্ষমতার বাইরে মাত্রাতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করানো, পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের বিলম্বের কারণে আন্দোলন লেগেই থাকত।
সর্বশেষ ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর শিক্ষার্থীরা এখন ঢাবির অধিভুক্ত থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছেন। একই ইস্যুতে গত রোববার রাতে আন্দোলনের সময় সাত কলেজ ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সাত কলেজ সঙ্কটের জন্য আরেফিন সিদ্দিক ও ড. হারুনের ব্যক্তিগত রেষারেষিকে দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির। নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদলেহনকারী সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আরেক সহযোগী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদের ব্যক্তিগত রেষারেষির পরিপ্রেক্ষিতে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ও সুন্দর ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলে এই কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এটি ছিল একটি অবিবেচনাপ্রসূত চরম হঠকারী পদক্ষেপ।’ নাসিরের মতো একই অভিযোগ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদও। তিনি এ সমস্যার পেছনে শেখ হাসিনাসহ সাবেক দুই উপাচার্যকে দায়ী করেছেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এ সমস্যা তৈরির জন্য দায়ী শেখ হাসিনা ও সাবেক দুই উপাচার্য। তাদের অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের কারণে সাত কলেজের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভুগছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আগামী শিক্ষাবর্ষে সাত কলেজের ভর্তি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’