ঘুষ না দেয়ায় টেন্ডার বাতিল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুলের দাপট
দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ১৬:৪০ অপরাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় রিপোর্ট:
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বরিশাল উপ-বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামের দাপটে ২০ লাখ টাকার টেন্ডার বাতিল হয়েগেছে। এ ব্যাপারে কাজী হোল্ডিং এর প্রতিনিধি জানান, মোঃ রফিকুল ইসলাম একজন দুর্নীতিবাজ ও ঘুসখোর লোক। রফিকের দাবীকৃত বিশ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় কার্যাদেশ প্রদান করেননি। এঘটনার সূত্রে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে তার দুর্নীতি ও অনিয়মের নানান তথ্য। প্রসঙ্গত, একই কর্মস্থলে ১৫ বছর আছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের খুলনা বিভাগের অধীনে বরিশাল উপ বিভাগের জন্য রুপাতলী হাউজিং এস্টেটে চার তলা ফাউন্ডেশন এবং দু’তলা অফিস ভবন নির্মান ও অভ্যান্তরীন স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিক কাজের দরপত্র আহবান করা হয় ২০২২ সালের ১৭ আগষ্ট। একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দরপত্রে সর্ব নিম্ম দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয় কাজী হোল্ডিং। দ্বিতীয় দরদাতা হোন সাংহাই জিয়ারুই মেটালোজিক্যাল এন্ড হেভী ম্যাশিনারী বিডি লিমিটেড। তৃতীয় দরদাতা হলেন এস এ ট্রেডিং করপোরেশন।
সর্ব নিম্ম দরদাতা হিসেবে কোটেশন দর প্রদান করেন দুই কোটি তেত্রিশ লাখ ৯৭ হাজার এক শত ৪৪ টাকা। অফিসিয়াল কস্ট ইস্টিমেট ছিল দুই কোটি ৩৩ লাখ ১২ হাজার দুই শত ছত্রিশ টাকা। পে অর্ডারসহ সকল বিধি বিধান মেনে দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজী হোল্ডিং সর্ব নিম্ম দরদাতা হলেও কার্যাদেশ প্রদান করা হয়নি। সুত্র জানায় কাজী হোল্ডিং দরপত্রে সর্ব নিম্ম দরদাতা হিসেবে উত্তীর্ন হলেও আটকে যায় কার্যাদেশ। কারন কাজটি থেকে বিশ লাখ টাকা ঘুস দাবী করেছিলেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বরিশাল উপ-বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অন্যের নামে তিনি পুকুরে মাছ চাষ করে আয় করছেন বিধি বহির্ভূত ভাবে। রুপাতলী হাউজিং এস্টেটের জমিতে নার্সারী ও দোকান ভাড়া দিয়ে ভাড়া আদায় এবং বিভিন্ন নামে ড্রেন নির্মান,বাউন্ডারি দেয়াল নির্মান, গ্যারজ নির্মানের কার্যাদেশ দেখিয়ে নিজেই এসব নির্মান কাজে জড়িত ছিলেন। করেছেন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ। এ দিকে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে এক টাকার কাজ ও পণ্য ক্রয় না করেও ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার আপন ভাই আনোয়ারের মাধ্যমে ঘুষের টাকা লেনদেন করেন। সেপ্টেম্বর মাসেই এক দিনে আনোয়ারের ব্যাংক একাউন্টসে ৬০ লাখ টাকা জমা হয়েছে।