স্টাফ রিপোর্টার:
প্রবীণ বা জ্যেষ্ঠ নাগরিক। পরিবার, সমাজ আর রাষ্ট্রে সবচেয়ে গুরুত্ব পাওয়ার কথা তাদের। কিন্তু পদে পদে পান অবহেলা। দিনকাটে নিদারুণ কষ্টে। পদেপদে খোগ করেন বিড়ম্বসা। মেলেনা মৌলিক সেবাও। অথচ প্রতিবছর ‘প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের’ পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পালন করা হয় বিশ্ব প্রবীণ দিবস।
১৯৯০ সালের পয়লা অক্টোবর, আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ।এবারের বিশ্ব প্রবীণ দিবসেনর প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বৈশ্বিক মহামারির বার্তা’। কিন্তু পালনেই আসল কাজ হচ্ছে না। পরিবোরের আবহেলার পাশাপাশি নিতান্ত বাধ্য হয়ে কোন কাজে গেলে অবহেলাই পেতে হয় রাষ্ট্রের এই জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের। আক্ষেপের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে কিছু চাওয়াও আছে তাদের- অন্তত মৌলিক চাহিদা গুলো সঠিকভাবে চান তারা। কিন্তু কেউ আমলেই নেন না! অবশ্য সবার জীবন একরকম নয়। অনেকেই আছেন যারা এখনো নিজের দু’বেলা খাবারের জন্য কাজ করে চলেছেন।
বাড়ছে গড় আয়ু সেসংগে বাড়ছে রাষ্ট্রে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা। পরিবার সমাজের পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রর যেসব দায়িত্ব রয়েছে তা অনেকটাই উপেক্ষিত। এনিয়ে পরিকল্পনা করার তাগিদ দেন সমাজবিজ্ঞানীরা। অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় আট শতাংশ প্রবীণ। সে হিসেবে প্রবীণের সংখযা ১ কোটি ৩০ লাখ। তাদের দেখাভালের দায়িত্ব পরিবারের, একই সাথে রাষ্ট্রেরও।