অয়নাঘর মানেই বয়ংকর এক জগত! ছিল না আলো-বাতাস কিংবা জানালা। শুধু ছিল বিকট শব্দ আর ভয়ানক অন্ধকার। আজানের মতো পবিত্র ধ্বনি কানে পৌঁছানো ঠেকাতে চালানো হতো এগজস্ট ফ্যান। কখনো আবার সাউন্ড বক্সে বাজানো হতো গান। এমনকি ২৫ জন বন্দিকে একটি ব্রাশ ব্যবহারে বাধ্য করা হতো। মুখ মুছতে হতো নোংরা গামছায়। জেআইসি সেল বা আয়নাঘর নিয়ে এমনই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
জেআইসি সেলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক-বর্তমান ১৩ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল রোববার (৭ ডিসেম্বর)। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানিতে বন্দিদের দেওয়া বিভিন্ন বিবরণ দেন তিনি। পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ডিজিএফআইয়ের সদর দপ্তরের দক্ষিণ পাশে মেস-বি এর মাঝে একটি দোতলা ভবনে ছোট ছোট খোপের মতো বন্দিশালা ছিল। এতে ছিল মোটা রডের গ্রিল ও বাইরে ছিল ঢাকনা। ভেতরে কোনো আলোর ব্যবস্থা ছিল না। প্রত্যেকটা সেলের ভেতরে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকত। ছোট ভেন্টিলেটর ছিল। এ ছাড়া যখনই আজান হতো তখন এগজস্ট ফ্যান চালানো থাকত। কখনো কখনো উচ্চশব্দে সাউন্ড বক্সে গান বাজানো হতো। বন্দিরা যেন আজান বা বাইরের কোনো শব্দ শুনে বুঝতে না পারেন এটা কোন জায়গা।