• ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশে রাষ্ট্রীয় ভোজ গ্রহণ করেন না পুতিন

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ
বিদেশে রাষ্ট্রীয় ভোজ গ্রহণ করেন না পুতিন
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা যখন বিদেশ সফরে যান, তখন কূটনীতি, রাজনীতি ছাড়াও বড় একটি আলোচনার বিষয় থাকে গুরুত্বপূর্ণ অতিথির জন্য খাবারের আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন। তবে, বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রপ্রধান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেলায় ঘটনা পুরোপুরি ব্যতিক্রম। কারণ, বিদেশে কোনো রাষ্ট্রীয় ভোজই গ্রহণ করেন না তিনি। ভারতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
বৈচিত্রময় খাবারের বদলে সহজলভ্য ও পুষ্টিকর খাবারগুলোকেই প্রাধান্য দেন পুতিন। সাধারণত সকালটা শুরু করেন ফরগ নামের রুশ পনির ও মধু দিয়ে। সঙ্গে থাকে দুধ কিংবা পানিতে ভিজানো শস্য জাতীয় নরম খাবার। ডায়েটে শর্করার মাত্রা থাকে বেশ কম, কিন্তু উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেয়ে তিনি শুরু করেন দিনের কর্মব্যস্ততা। দুপুর ও রাতের খাবারে থাকে সেদ্ধ তাজা মাছের পদ। লাল মাংস এড়িয়ে চললেও মাঝেমাঝে ভেড়ার মাংস খেতে ভালোবাসেন পুতিন, তবে শর্ত একটাই; যেকোনো খাবারে মসলা হতে হবে পরিমিত। এছাড়া, মূল খাবারের সঙ্গে টমেটো, শসাজাতীয় সবজির সালাদ থাকে নিয়মিত। আর সবশেষে থাকে তাজা ফলের শরবত, ভেষজ পানীয় কিংবা রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী বিটরুট ও হর্সর‌্যাডিশের জুস।
শুধু তাই নয়, সুনির্দিষ্ট শেফ কর্তৃক প্রস্তুত করা খাবারগুলো তার প্লেটে পৌঁছানোর আগে পরীক্ষা করা হয় কয়েক দফায়। এমনকি প্রতিবার বিদেশ সফরে গেলে একটি বহনযোগ্য টেস্টিং ল্যাবও সঙ্গে রাখেন পুতিন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশ সফরে খাদ্য গ্রহণে পুরোপুরি সামরিক রীতি মেনে চলেন পুতিন। তাই, ভারতে তার বিশেষ খাদ্য প্রস্তুতকারী দলের তত্ত্বাবধানে স্থাপন করা হয়েছে একটি আলাদা রান্নাঘর। বিদেশ সফরে গেলে হোটেল, রেস্তোরাঁ কিংবা রাষ্ট্রীয় ভোজে সাধারণত অংশ নেন না রুশ প্রেসিডেন্ট। পরিবর্তে তিনি মেনে চলেন নির্ধারিত ডায়েট পরিকল্পনা; দেশ পরিচালনার মতো খাবারের ক্ষেত্রেও মেনে চলেন একই নীতি— সেটি হলো শৃঙ্খলা, সহজবোধ ও নিরাপত্তা।