খুশকি ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা ক্ষতিকর নয়। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার তথ্য অনুযায়ী, খুশকির কারণে মাথার ত্বকে সাদা রঙের আঁইশ বা চামড়ার পরত ওঠে। এগুলো চামড়ার সঙ্গে কিংবা চুলে থাকে। খুশকির কারণে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং অনেক সময় চুলকায়। কিন্তু শীতকাল মানেই খুশকির প্রাত্যহিক বিড়ম্বনা।
খুশকি চুলের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। আর এর কারণে নানা রকমের সমস্যা তৈরি হয়। চুল পড়া, মাথার ত্বকে চুলকানি, অতিরিক্ত চুলকানির ফলে নখের আঁচড়ে মাথার ত্বকে ইনফেকশন ইত্যাদি নানা রকম সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় মাথার ত্বকে খুশকির পাশাপাশি ছোট ছোট দানার মতো কিছু গোটা হয়ে থাকে এবং রোগীর মাথার ত্বকে অতিরিক্ত চুলকানি হয়। অন্যান্য রোগের মতো খুশকিও বংশগত কারণে হতে পারে। অনেক সময় দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত ক্লান্তিতে থাকলে খুশকি হতে পারে। মাথার ত্বক বুঝে খুশকির ধরনও নানা রকম হয়ে থাকে। অনেক সময় মাথার ত্বকে ব্রণের মতো হয়ে প্রচন্ড চুলকানি হয়। এসব ধকলের শেষ পরিণতি চুল পড়ে যাওয়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া।
খুশকিরোধে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি শীতকালীন ফলের রসও খেতে হবে বেশি বেশি। মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে যদি প্রতিদিন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন হয়, তবে তাই করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এবং শ্যাম্পু শেষে যেহেতু চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাই কন্ডিশনার বা সিরাম ব্যবহার করতে হবে। বাজারের চলতি প্রোডাক্টের চেয়ে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি প্রাকৃতিক সমাধানে খুশকি দূর হবে ও চুল থাকবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত।
♦ কয়েকটা নিমপাতা গুঁড়া করে নিন। অলিভ অয়েলের সঙ্গে নিমের গুঁড়া মিশিয়ে মাথায় মাখুন। ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক দিন করে এটা ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।
♦ পিয়াজের রস ভালো করে মাথার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে দ্রুত উপকার পাবেন।
♦ পাঁচ চামচ পাতিলেবুর রস এবং সঙ্গে একটুখানি অরেঞ্জ পিল পাউডার মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে মাথার স্ক্যাল্পে লাগান। তারপর সেটা আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটা কিন্তু দারুণ কাজের।