Home ফিচার এশিয়ার বৃহত্তম ভাসমান পেয়ারা বাজার, মুগ্ধ করে সকলকে

এশিয়ার বৃহত্তম ভাসমান পেয়ারা বাজার, মুগ্ধ করে সকলকে

মোঃ সাকিব রায়হান বাপ্পি
ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের পছন্দনীয় স্থানগুলোর একটি হিসাবে পরিচিত ভাসমান পেয়ারা বাগান। চারিদিকে পেয়ারা ও আমড়ার বাগান, সরু খাল এবং পেয়ারা বাগানগুলোকে ঘিরে গড়ে ওঠা ছোট ছোট পার্কগুলো মুগ্ধ করবে ছোট বড় সকলকেই।

পেয়ার বাগান ভ্রমনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

ঝালকাঠি, বরিশাল এবং পিরোজপুরের সিমান্তবর্তী এলাকার ২৬ টি গ্রামের প্রায় ৩১ হাজার একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাগান এবং প্রায় ২০ হাজার পরিবার এর সাথে জড়িত। ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ভিমরুলিতে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাসমান পেয়ারা বাজার (Floating Guava Market)। তিন দিক থেকে আসা খালের মোহনায় বসে ভিমরুলির এই ভাসমান পেয়ারা বাজার।

মূলত নৌকায় করে পেয়ারা সংগ্রহ এবং বিক্রয় কার্যক্রম চলে বলেই বলা হয় ভাসমান পেয়ারা বাজার। সপ্তাহের প্রতিদিনই চলে পেয়ারার ক্রয়- বিক্রয় কার্যক্রম তবে পেয়ারার মৌসুমেই এই বাজার ফিরে পায় তার প্রাণ। পেয়ারার মৌসুমে দক্ষিণ অঞ্চলের পেয়ারার বেশিরভাগ চাহিদাই পূরণ হয় এই পেয়ারা বাগান থেকে এবং এর সাথেই রয়েছে আমড়ার বাগান যা আমড়ার চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সড়ক এবং জল উভয় পথেই চাইলে ঘুরে আসা যায় এশিয়ার এই বৃহত্তম পেয়ারা বাগান। বরিশাল শহরের চৌমাথা নবগ্রাম রোড থেকে সরাসরি মাহেন্দ্রা অথবা লেগুনাতে চড়ে সহজেই পৌছানো যায় পেয়ারা বাগানে। এছাড়াও ঝালকাঠি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর হতে যাওয়া যায় পেয়ারা বাগানে।
জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বর মাস পেয়ারার মৌসুম। পেয়ারার মৌসুম শেষ হলে আসে আমড়ার মৌসুম। এ অঞ্চলে আমড়ার ফলনও সর্বত্র। আর সবশেষে আসে সুপারি। ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের চাহিদাগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পার্ক, খাবার ও থাকা জন্য হোটেল ব্যবস্থা। যা ভ্রমণকারীদের আগ্রহকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।
বিগত কয়েক বছর হতে ভ্রমণকারীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে এই অঞ্চলেন ব্যবসায়-বাণিজ্য। যার ফলে, উন্নত হচ্ছে ঐ অঞ্চলের মানুষদের জীবন-জীবিকার মান। লক্ষণীয় বিষয় হলো প্রায় প্রতিটি বাসায়ই রয়েছে নৌকা এবং তারা সড়ক ও জল উভয় পথেই যোগাযোগ করতে সক্ষম। তবে উন্নয়নের পুরো ছোঁয়া হয়তে পাওয়া বাকি।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভ্রমণকারীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। যারা পেয়ারার মৌসুমে ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে আদায় করে অতিরিক্ত যাতায়াত ভাড়া এবং পার্কগুলোতে প্রতিষ্ঠানকতৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হতে বেশি মূল্যে বিক্রয় করা হয় সকল পণ্য। যা ভ্রমণকারীদের জন্য হতাশার কারণ। প্রশাসনের তদারকি জোরদারের মাধ্যমে যা সমাধান করা সম্ভব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

অনলাইনে তরুণীদের প্রেমের ফাঁদ, হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

দখিনের সময় ডেস্ক: অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে টাকা খোয়ানো বা অ্যাপে বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনা এখন যেন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে উঠছে। হোয়াটসঅ্যাপে বন্ধুত্ব করে...

সন্ধ্যার নাস্তায় মুড়ি খান? জেনে নিন শরীরে কী ঘটছে

দখিনের সময় ডেস্ক: সন্ধ্যাবেলায় ক্ষুধা মেটাতে মাঝেমধ্যেই ঝালমুড়ি খান অনেকে। কিন্তু জানেন এর ফলে শরীরে কী হচ্ছে? কীভাবে মুড়ি খেলে পাবেন উপকার? এছাড়া, কখন মুড়ি...

ব্রিটেনে ভোটে এবার প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছে এআই স্টিভ

দখিনের সময় ডেস্ক: করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় এমন সব কাজে এখন ব্যবহার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এর মাধ্যমে প্রায় অসম্ভব কাজকে মুহূর্তের মধ্যে করা...

প্রতিদিন এক চামচ ঘি খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: ঘি তার স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য পরিচিত। পোলাও, জর্দা, হালুয়া, বিরিয়ানি, কোর্মা, রোস্টসহ নানা মজাদার রান্নায় এই উপাদান ব্যবহার করা হয়। অনেকে...

Recent Comments