দখিনের সময় ডেক্স:
শাহজালাল বিমানবন্দরে দীর্ঘ দিন পড়ে থাকা উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলোকে একাধিকবার চিঠি দিয়েও সাড়া মিলছে না। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তপক্ষ। এ আবস্থায় এগুলো নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানাগেছে। কিন্তু নিলামে ক্রেতা যেতে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ অবস্থায় পরিত্যাক্ত উড়োজাহাজগুলো যেতে পারে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে দীর্ঘ দিন পড়ে আছে কয়েকটি এয়ারলাইন্সের ১২টি পরিত্যক্ত উড়োজাহাজ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমনিতেই জায়গার সংকট চরমে, তার উপর দীর্ঘদিন ধরে ১২টি পরিত্যাক্ত উড়োজাহাজ রপ্তানি কার্গো ভিলেজের সামনে রাখা ছিল। এ উড়োজাহাজকে ডি-রেজিস্ট্রেশন করে নিলামে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। নিলামে বিক্রি না হলে শেষ পর্যন্ত স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করা হতে পারে এসব উড়োজাহাজ। এগুলোর মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, জিএমজি এয়ারলাইন্সের একটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ রয়েছে।
তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের জন্য বিমানবন্দরের স্থাপনা উত্তর দিকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। আর ওই ১২টি পরিত্যাক্ত বিমানকেও রাখা হয়েছে উত্তর দিকের বে-র সামনে। এসব উড়োজাহাজের বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি উল্টো এগুলো সরিয়ে নেওয়ারও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। বাধ্য হয়ে তাই কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে বেবিচক।
এরইমধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮টি ও জিএমজি এয়ারলাইন্সের ১টি উড়োজাহাজের ডি-রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। বাকি ৩টি উড়োজাহাজের ডি-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল আলম বলেন,’এই জিনিসগুলো এখান থেকে সরানোও ব্যায় বহুল।