জন্ম হ্রাস ঠেকাতে কনডমের দাম বাড়াল চীন, বাড়বে এইডস সংক্রমন
দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ২০:৫০ অপরাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
চীনে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর ওপর নতুন করে ভ্যাট আরোপ করায় কনডমের দাম বেড়েছে। সম্প্রতি দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার জন্মনিয়ন্ত্রণ পণ্যগুলোকে মূল্য সংযোজন করের আওতায় এনে কনডমের ওপর ১৩ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে। ফলে বাজারে কনডমের দাম হঠাৎই বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে কনডমের দাম বৃদ্ধিকে অনেকেই ‘সময়োপযোগী নয়’ বলে মন্তব্য করছেন। কারণ, চীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত বাড়ছে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা। চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সালে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে এইডস আক্রান্তের হার ছিল ০.৩৭; ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৪১। বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌন নিরাপত্তা সামগ্রীতে বাড়তি কর আরোপের ফলে সংক্রমণ রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। চীনের সামনে তাই দ্বৈত চ্যালেঞ্জ জন্মহার বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
সরকারের যুক্তি জন্মহার বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, আর কনডমে ভ্যাট আরোপও সেই উদ্যোগের অংশ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এক চীনা কর্মকর্তা বলেন, দাম বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ কনডম কম কিনবে, আর এর প্রভাব জন্মহারের ওপর পড়বে। তবে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন জনসংখ্যা গবেষক হি ইয়াফু। তার মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ মূলত প্রতীকী। বাস্তবে এর বড় কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।
১৯৮০ সালে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এক সন্তাননীতি চালু করে চীন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত কঠোরভাবে সেই নীতি মেনে চলায় জন্মহার কমে এলেও দেশটি এখন ভুগছে ঠিক উল্টো সমস্যায় নিম্ন জন্মহার ও দ্রুত বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে। গত এক দশক ধরে দেশটিতে নতুন জন্মের হার ক্রমাগত কমছে, একই সঙ্গে বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা। জাতিসংঘের হিসাব বলছে, বর্তমানে চীনে বছরে প্রায় ১৪০ কোটি শিশুর জন্ম হয়। এই নিম্ন জন্মহার অব্যাহত থাকলে ২১০০ সালে এটি নেমে আসতে পারে ৮০ কোটিতে।