• ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিয়া-জাসদের আঁতাতের ফল ৭ই নভেম্বর, সেনা হত্যার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন জেনারেল জিয়া

দখিনের সময়
প্রকাশিত নভেম্বর ৭, ২০২০, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ণ
জিয়া-জাসদের আঁতাতের ফল ৭ই নভেম্বর, সেনা হত্যার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন জেনারেল জিয়া
সংবাদটি শেয়ার করুন...

স্টাফ রিপোর্টার:

জিয়া-জাসদের আঁতাতের ফল পঁচাত্তরের ৭ই নভেম্বরের ঘটনাবলী। বেশ কজন সেনা অফিসারকে হত্যার ধরাবাহিকতায় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জেনারেল জিয়া। সাতই নভেম্বরের অভিঘাত হিসেবে টানা নব্বই পর্যন্ত সামরিক শাসন চলে দেশে। বদলে ফেলা হয় মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির সংবিধান।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নভেম্বরে দেশের ইতিহাসের আরেকটি বাঁক বদলে তিন তারিখে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে গৃহবন্দী হন তখনকার সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। খন্দকার মোশতাককে সরিয়ে ছয়ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশসকের দায়িত্ব দেয়া হয় বিচারপতি আবু সায়েমকে।

খালেদ মোশাররফকে ঠেকাতে কর্নেল তাহেরের সহায়তা চান জিয়াউর রহমান। মুক্ত হন জিয়া, হত্যা করা হয় খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা ও কর্নেল হায়দারসহ বেশ কজন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে। এছাড়াও সৈনিকরা বেশ কজন অফিসারকে হত্যা করেন। এ সময়ই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জেনারেল জিয়া। তবে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে জাসদের তখন কোন আঁতাত হয়নি বলে এখনও দাবি করেন জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু। সিপাহী জনতার বিপ্লব বলা হলেও সে বিপ্লবে জনতার অংশগ্রহন কতটুকু ছিল তা নিয়ে জোরালো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে জাসদের আঁতাতের ফসল পঁচাত্তরের ৭ই নভেম্বরের ঘটনাবলী। যার মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় চালানোর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে জিয়া নিজেই জাসদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে দাবি করে তার সঙ্গে কোনও রকম আঁতাতের কথা মানতে নারাজ জাসদ। যদিও কীভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন জিয়া সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। প্রশ্ন, আঁতাত না হলে কি বিশ্বাসঘাতকতা সম্ভব? কিছু বিশ্বাস স্থাপন করলেই বিশ্বাসঘাতকতা হয়। দুইজনের মধ্যে যদি কোন সম্পর্ক না থাকলে তা ভেঙ্গে গেলো কিভাবে। জাসদের লক্ষ্য ছিল জিয়াউর রহমানকে দিয়ে তারা একটা তথাকথিত সৈনিক জনতার যে বিপ্লব সেটিকে একটী বিপ্লবি সরকারে প্রতিষ্ঠিত করবে।