• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ায় শিশু-কিশোরদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ২০:৩৬ অপরাহ্ণ
অস্ট্রেলিয়ায় শিশু-কিশোরদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আইন প্রণয়ন করেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে এই আইন কার্যকর হবে, যার উদ্দেশ্য কম বয়সীদের মানসিক স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সামাজিক আচরণ রক্ষা করা। ইউটিউব, এক্স, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট, কিক ও টুইচসহ অন্যান্য বড় বড় প্ল্যাটফর্মও এই আইনের আওতায় আসবে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের গবেষণা অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী ৯৬ শতাংশ শিশু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, যেখানে তাদের অনেকেই সহিংসতা, মিসোজিনি, ইটিং ডিসঅর্ডার এবং আত্মহত্যা-উদ্দীপক কনটেন্টের শিকার হচ্ছে। প্রতি ৭ জনে ১ জন শিশু ‘গ্রুমিং’-এর শিকার এবং অর্ধেকের বেশি সাইবারবুলিংয়ের সম্মুখীন। ফেসবুকের মালিকানাধীন মেটা ইতোমধ্যেই নতুন আইন অনুযায়ী ১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও থ্রেডস প্ল্যাটফর্মে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে প্রভাবিত হতে পারে প্রায় দেড় লাখ ফেসবুক ও ৩.৫ লাখ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী।
আইনের অধীনে সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে বাধ্য করা হয়েছে ১৬ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য, না মানলে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৫ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করা হবে। মেটার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বয়স যাচাইয়ের দায়িত্ব মূলত অ্যাপ ডাউনলোডের সময় অ্যাপ স্টোরগুলোর ওপর দেওয়া হলে এই প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হবে। মেটা আরও জানিয়েছে, যারা তাদের অ্যাকাউন্ট হারাবে তারা আগেই নিজেদের ছবি, ভিডিও, পোস্ট ও মেসেজ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ভুলবশত কম বয়সী হিসেবে শনাক্ত হলে ভিডিও সেলফি বা সরকারি পরিচয়পত্র দিয়ে বয়স যাচাইয়ের সুযোগ থাকবে।
তবে কিছু সমালোচক এই আইনকে কম বয়সীদের অনিয়ন্ত্রিত ও বিপজ্জনক প্ল্যাটফর্মের দিকে ঠেলে দেয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিকেশনস মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস বলেন, জেনারেশন আলফাকে রক্ষার জন্য এটি জরুরি পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ শিশুর মানসিক ও সামাজিক সুরক্ষায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।