দখিনের সময় ডেক্স:
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনায় এ নিহতের সংখ্যা ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ ছাড়া এই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় বুধবার(৫আগস্ট) সারাদেশে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হযেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সেনাবাহিনীকে টহলের নির্দেশ দিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন।
বিস্ফোরণে এলাকার বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। বন্দর এলাকার এই বিস্ফোরণে পুরো বৈরুত শহর ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠেছিল। লেবানন থেকে ১৫০ মাইল দূরে এই কম্পন অনুভূত হয়। বিস্ফোরণের পর সেখানে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান স্থানীয়রা। অনেক ভবনের জানালার কাচ ভেঙে গেছে।
লেবাননের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বলেছেন অত্যন্ত বিস্ফোরক রাসয়নিক পদার্থের গুদামে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কর্মকর্তারা বলছেন এই বিস্ফোরণ দুর্ঘটনা। পরিকল্পিতভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তারা বলছেন গুদামে ছয় বছর ধরে মজুত রাখা অত্যন্ত বিপদজনক বিস্ফোরক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব এই ঘটনাকে বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।
লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত ও চার হাজার জন আহত হয়েছেন। এখনো অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্বজনদের খোঁজ করছে মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে। বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সময় প্রয়োজন।
লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা জানিয়েছে, বন্দরের রাসায়নিকের গুদাম থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্র-পরিচালিত ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বিস্ফোরণের আগে বন্দরের কাছে আতশবাজির একটি গুদামে আগুন লেগেছিল।
লেবাননে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেবাননের জনগণের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। তিনি জরুরিভাবে উদ্ধার কাজে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরান, ইসরায়েল এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে লেবাননকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।