• ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমলা ছাড়া রাষ্ট্র চলে না

দখিনের সময়
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ
আমলা ছাড়া রাষ্ট্র চলে না
সংবাদটি শেয়ার করুন...
লাইন ছাড়া যেমন রেল চলে না তেমনই রাষ্ট্র চলে না আমলা ছাড়া। আর ফেরাউনের আমলেও আমলাতন্ত্র ছিল। এ প্রসঙ্গ সামনে এনেছিলেন বিগত মাফিয়া সরকারের পরিচ্ছন্নমন্ত্রী আবদুল মান্নান। তিনিও ‍এক সময় আমলা ছিলেন। বলা বাহুল্য, ফেরাউন বা অন্য কোনো সম্রাট থেকে একটা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আমলাতন্ত্র ভিন্ন হতে বাধ্য।
একটা সৎ ও দক্ষ আমলাতন্ত্র রাষ্ট্র পরিচালনাকে অনেক সহজ করে তোলে। একটা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সাংবিধানিক চেতনা অনুসারে সরকারি আমলাতন্ত্রের কর্মপরিধি নির্ধারণ হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি আমাদের দেশে। অবশ্য এর পেছনে অনেক ধরনের খেলাধুলা ছিল এবং আছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে নানান ধরনের বিপত্তি।
সাধারণত সরকার যায় সরকার আসে, কিন্তু আমলারা থেকে যায়। আমলাদের এ অবস্থা অনেকটা সদ্যপ্রয়াত বিএনপি নেতা মিরপুরের আলোচিত এস এ খালেকের মতো। তিনি বলতেন, ‘আমি তো সরকারি দল করি, সরকার পাল্টালে আমি কী করব!’ রাজনীতিকের ক্ষেত্রে এটি একটি নির্লজ্জ অজুহাত হলেও চীন মুল্লুকে দুই হাজার বছর আগে শুরু হওয়া আমলাদের এটিই হচ্ছে ইনবিল্ড প্রবণতা এবং এটিই হওয়া উচিত। কারণ আমলাতন্ত্র হচ্ছে শাসনব্যবস্থার মেরুদণ্ড। ফলে শাসক পাল্টালেও আমলা নিয়ে সংগত কারণেই বিগত দিনগুলোতে খুব একটা ঘাঁটাঘাঁটি করা হতো না। বহু বছর ধরে চলে আসা বিষয়গুলোর একরকম বাস্তব ভিত্তি থাকে। সুফলও থাকে। অন্তত অসুবিধার চেয়ে সুবিধার মাত্রা বেশি। এটি স্বতঃসিদ্ধ। এর পরও একসময় অনেকটা মিউমিউ করে বলা হতো—‘সরকার বদলালে মন্ত্রীরা জেলে যায়, সচিবরা কেন যায় না!’ কিন্তু এবার বেশ ব্যতিক্রম ঘটেছে। সনাতনী ধারা ভেঙে বর্তমান সরকার আমলে জেলে যাওয়া বিষয়ে মন্ত্রী-আমলা অনেকটাই যেন একাকার হয়ে গেছে। অবশ্য মন্ত্রীরা যত না জেলে গেছেন, তার চেয়ে বহুসংখ্যক পালাতে সক্ষম হয়েছেন, যা কারও কারও বিবেচনায় রহস্যজনক।
# দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত, ২২ জানুয়ারি ২০২৫।
শিরোনাম ‘আমলাতন্ত্রের মৌচাকে ঢিল’
# আগামী কাল, প্রশাসনে দলদাস চিহ্নিত করা প্রয়োজন