• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালের কণ্ঠ’র ডিক্লারেশন বাতিল চেয়ে ১১ সাংবাদিকের রিট মামলা

দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ২০:০২ অপরাহ্ণ
কালের কণ্ঠ’র ডিক্লারেশন বাতিল চেয়ে ১১ সাংবাদিকের রিট মামলা
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
দৈনিক কালের কণ্ঠের ডিক্লারেশন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন পত্রিকাটির সাবেক ১১ সাংবাদিক। সোমবার (১৩ অক্টোবর) হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলা করা হয়। আবেদনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়েছে।
চাকরি ছাড়ার পর তাদেরকে দেওয়া ব্যাংক চেকগুলো নগদায়ন না হওয়ায় তারা এ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান ১১ সাংবাদিকের পক্ষে রিট আবেদনকারী হানযালা হান। অপর ১০ আবেদনকারী হলেন- মো. শাহ আলম, মো. জাহেদুল আলম, কাকলী প্রধান, দেওয়ান আতিকুর রহমান, আবু সালেহ মোহাম্মদ শফিক, কে এম লতিফুল হক, আসাদুর রহমান, মো. রোকনুজ্জামান, শামসুন নাহার ও মো. লতিফুল বাশার (লিমন বাশার)।
রিট আবেদনকারীরা বিভিন্ন সময় কালের কণ্ঠের চাকরি ছেড়েছেন। কাউকে কাউকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব উপায়ে বকেয়া হিসাব করে এবং প্রত্যেকের জন্য তাদের পাওনা টাকা দশটি কিস্তিতে ভাগ করে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে পৃথকভাবে তিন থেকে দশটি চেক দেয়। চেকগুলোতে (সংশ্লিষ্ট মাসের ২৫, ২৮ এবং ২৯) তারিখ লেখা থাকত। কিন্তু চেকগুলো ব্যাংকে জমা দিলে অপর্যাপ্ত তহবিল দেখিয়ে ফেরত দেওয়া হয়। তাই কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ ওই পত্রিকা চালানোর প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাতে ব্যর্থ বলে প্রতীয়মান হয়। এ কারণে প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস (ডিক্লারেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ২০ ধারা অনুসারে পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিলের আদেশ চাওয়া হয়। এছাড়া এই ১১ সংবাদকর্মীর বকেয়া পাওনা পরিশোধেও আদেশ চাওয়া হয়েছে। চাকরিকালীন আর্থিক সুবিধা না পেয়ে গত ১৭ আগস্ট কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট মামলা করার কথা বলেছেন হানযালা।
এই বিষয়ে কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, একসময় আমরা একই পরিবারের সদস্য ছিলাম। উনাদের প্রতি আমাদের সিমপ্যাথি আছে। পাওনাদি বিষয়ে উনারা হয়তো মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। আমরা উনাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করব।