দখিনের সময় ডেক্স:
ভারতে প্রতি বছর হাজার হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ইয়োগিতা ভ্যায়না বলেন, কোনো বয়সের নারীই ভারতে নিরাপদ নয়। আমি কয়েক মাস বয়সী শিশু থেকে ৬০ বছর বয়সী প্রৌঢ়াকেও ধর্ষিত হতে দেখেছি। ভারতের ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’র হিসাব মতে, ২০১৮ সালে ৩৩ হাজার ৯৭৭টি ধর্ষণের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি ১৫ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
ধর্ষণ প্রতিরোধে আন্দোলনকারীদের দাবি, ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশী। কারণ ধর্ষণের অনেক ঘটনা নথিবদ্ধ হয় না। সব ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয় না। কেবলমাত্র গুটিকয় বিভৎস ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ভারত যে সময়ে করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত, সে সময়ে আখের ক্ষেতে ১৩ বছরের এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়। কিশোরীর বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে কেবল ধর্ষণ করা হয়নি, নির্যাতনকারীরা মেয়েটির চোখ তুলে নিয়েছে, জিহ্বা কেটে দিয়েছে।
গত জুলাই মাসে ৬ বছরের এক শিশু কন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষককে যাতে চিনতে না পারে সে জন্য তার চোখে আঘাত করা হয়। ২০১২ সালে দিল্লীর রাস্তায় বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় সারা বিশ্বে তোলপাড় শুরু হলে ভারতে ধর্ষণের অপরাধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের বিচারের বিধান করে অপরাধীর সর্বোচ্চ শান্তি নির্ধারণ করা হয় মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রান্তিক পর্যায়ে পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
ছাড় পাননি ৮৬ বছরের বৃদ্ধাও
দিল্লীতে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক ধর্ষণ করেছে ৮৬ বছরের এক বৃদ্ধাকে। দিল্লীর নারী বিষয়ক কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল জানান, ওই বৃদ্ধা নিজেদের বাড়ির সামনে দুধওয়ালার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় ওই ধর্ষক বৃদ্ধাকে জানায়, আজ দুধওয়ালা আসবে না। পাশের কোনো এক জায়গায় দুধ পাওয়া যাবে বলে ধর্ষণকারী বৃদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে যায়। সেখানে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করা হয়।
ঘটনার সময় বৃদ্ধা অনেক অনুনয় বিনয় করে তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। ধর্ষককে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুমি আমার নাতীর বয়সী। কিন্তু বৃদ্ধার কোনো কথা না শুনেনি ওই সে। বাধা দিতে গেলে বৃদ্ধাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে ওই ধর্ষক।
স্থানীয় গ্রামবাসী চিৎকার শুনে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে।