• ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদক, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযানের জেরেই ইউএনও’র ওপর হামলা, ধারণা স্থানীয়দের

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ
মাদক, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযানের জেরেই ইউএনও’র ওপর হামলা, ধারণা স্থানীয়দের
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেক্স:
ঘোড়াঘাটে মাদক-বালুমহাল-চাঁদার নিয়ন্ত্রণে জাহাঙ্গীর-আসাদুল বাহিনী। সম্প্রতি এসবের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন ইউএনও ওয়াহিদা। অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনও’র ওপর হামলা করতে পারে ধারণা স্থানীয়দের।স্থানীয়রা জানান, এখানে কে আওয়ামী লীগ কে বিএনপি করে- সেটা বিষয় না।এখানে তারা একটি মাদক বাহিনী গড়ে তুলেছে। তারা মোটর সাইকেল,গাড়িতে করে এসব মাদক বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়।
জাহাঙ্গীর, আসাদুল, নান্নু ও মাসুদ রানা মিলে গড়ে তোলা বাহিনী বালুমহালও দখলে নিয়েছিল। কয়েক মাসে এসবের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ইউএনও ওয়াহিদা। গত ১৩ই মে ত্রাণ বিতরণের সময় ঘোড়াঘাট বাজারে পৌর মেয়রের ওপর অস্ত্রসহ হামলা চালায় জাহাঙ্গীর বাহিনী। স্থানীয় অনেকেই জানান, প্রভাবশালী অনেকের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাহাঙ্গীর বাহিনী।
ঘোড়াঘাটে মাদক, বালুমহাল ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ ছিলো জাহাঙ্গীর ও আসাদুল বাহিনীর হাতে। সম্প্রতি এসবের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম। অনেকের ধারণা- এসব কারণেই ইউএনও’র ওপর ক্ষুব্ধ হয়েও হামলা হতে পারে। তবে কার ছত্রছায়ায় জাহাঙ্গীর বাহিনী বেপরোয়া- সে বিষয়ে তদন্তের দাবি নাগরিক সমাজের। যদিও এর দায় নিতে নারাজ স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা।
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে মাদকসহ ধরা পরার পর স্থানীয় জনতা পেটানো শুরু করে  যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরকে।  ক্ষমতাসীন দলের নেতা হবার কারণে পুলিশ মোচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
হিলি সীমান্ত থেকে ঘোড়াঘাটের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এই উপজেলাকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে এই পথ দিয়ে মাদক পাচার হয় জয়পুরহাট, গোবিন্দগঞ্জ এমনকি রংপুর, দিনাজপুর পর্যন্ত। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, মাদক সেবনের পাশাপাশি বিক্রির সাথেও জড়িত ছিল জাহাঙ্গীর বাহিনী।
প্রতিদিন ঘোড়াঘাট বাজারে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার যাতায়াত করে অন্তত ৬শ। প্রত্যেকটি থেকে চাঁদা আদায় করা হয় ১০ থেকে ২০ টাকা। এটি নিয়ন্ত্রণ করে জাহাঙ্গীর আর তার সহযোগী ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলায় গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা আসাদুল।
জাহাঙ্গীর এর নিয়ন্ত্রণে একটি সিন্ডিকেট আছে। তাদের এসব সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজি যা কিছুই করে তার নেপথ্যে কেউ একজন আছে। দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসলেও এখন ভোল পাল্টেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।