ছেলেদের নির্যাতনে ঘরছাড়া বিধবা মা, কাল হয়েছে স্বামীর রেখে যাওয়া বিপুল সম্পত্তি
দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২০, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেক্স:
নিজ ছেলে নাছির আহম্মদ ও তার সন্তানরা তাকে মারধর করে বের করে দিয়েছে বাড়ি থেকে। প্রতিনিয়ত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মা’কে। মৃত্যুকালে স্বামী রেখে যান বিপুল সম্পদ। এই সম্পত্তিই এখন কাল হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আত্মীয়-স্বজন পর্যায়ে দফায় দফায় শালিস-বৈঠক হওয়ার পরও গ্রাম্য রাজনীতি রোষাণলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
চোখে–মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে ছেলের নির্যাতনের কথা বলছিলেন অসহায় বৃদ্ধা মা করফুলের নেছা। সন্তানদের অমানবিক নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য আকুতি জানিয়েছেন ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার সিন্দরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের ৮০ বছরের এ বৃদ্ধা মা। তার চার সন্তানের বিরুদ্ধে গত ৩০শে জুলাই স্থানীয় দাগনভূঁইয়া থানায় এবং ০৬ সেপ্টেম্বর ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন করফুলের নেছা।
অভিযোগে বলা হয়- ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার সিন্দরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের করফুলের নেছা। ৮ পুত্র ও তিন কন্যা তাঁর। স্বামী মৃত্যুবরণ করেন ২০০১ সালে। মৃত্যুকালে স্বামী রেখে যান বিপুল সম্পদ। এই সম্পত্তিই এখন কাল হয়েছে। সন্তানদের মধ্যে চলছে সম্পত্তি নিয়ে চলছে চরম বিরোধ। দুইপক্ষই অনেকগুলো মামলা করেও ক্ষ্যাš হয়নি। এখন সে বাড়িতে চলছে সন্ত্রাসী মহড়া।
বৃদ্ধা মা করফুলের নেছ জানান, তাঁর ছেলে নাছির আহম্মদ, কবির আহম্মদ, জাফর আহম্ম, ফয়েজ আহম্মদ স্বামী মৃত্যুর পর কোন খোর-পোষ বা ঔষদ-পথ্য দিচ্ছে না। তার নামের উক্ত ছেলেদের নামে লিখে দেয়ার জন্য তাঁকে প্রতিনিয়ত শারীরিক নির্যাতন ও নানাবিদ অত্যাচার করে আসছে। এমনকি জোরপূর্বক তাঁকে বসত ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। চার ছেলের অত্যাচারে ফেনী শহরে অন্য ছেলে সুলতান আহমদের বাসায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন মা।
বৃদ্ধার মেয়ে আকলিমা আক্তার (কাঞ্চু) বলেন, “আমাকে পাশের বাড়িতে বিয়ে দেয়া হয়েছে। ভাইরা আমার মাকে খুব অত্যাচার করে। আমি রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে আমাকেও মার-ধর করে। তাদের হুমকীতে আমি স্বামী সন্তানসহ বাড়ি ছাড়া।” বৃদ্ধা মা লিখিত অভিযোগে তাঁর চার সন্তানের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে বৃদ্ধার সন্তান নাছির আহম্মদ নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, এটি সত্য নয়।