ইরফানের ছিলো টর্চার সেল, চালাতো চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস
দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ২৭, ২০২০, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেক্স:
অবৈধ অস্ত্র-মদ-ওয়াকিটকি বা হাতকড়াই নয় হাজী সেলিমপুত্র ইরফানের ছিলো টর্চার সেলও। র্যাব বলছে, ওয়াকিটকি ব্যবহারের কারণ, এলাকার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ। তার বাসা ছাড়াও ইরফান পুরান ঢাকার আরেকটি ভবনের একটি ফ্লোরকে ব্যবহার করতেন টর্চার সেল হিসেবে।
রাজধানীর পুরনো ঢাকার চাঁন সরদার দাদার বাড়ি সাদা রংয়ের ৯ তলা ভবনটি স্থানীয়ভাবে সবার কাছেই পরিচিত। ভবনটির তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। অভিযান চলে ওই দুটি ফ্লোরে। মিলে অস্ত্র, গুলি, বিদেশি মদ, ওয়াকিটকি, ড্রোন ও ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার।
র্যাব বলছে, উদ্ধার হওয়া উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ৩৮টি ওয়াকিটকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করেন। পাওয়া গেছে একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার বা ভিপিএস। যা কোথা থেকে পরিচালিত হচ্ছে তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরও ট্র্যাক করার সুযোগ থাকে না। ইরফানের এসব ব্যবহারের কারণ চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ।
র্যাব বলছে পাশের আরেকটি ভবনে মিলেছে টর্চার সেলে। কেউ তার কথার বাইরে গেলেই ধরে এনে চালানো হতো নির্যাতন। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘হ্যান্ডকাফ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কারো কাছে রাখা আইনত দণ্ডনীয়।
উল্লেখ্য, হাজী সেলিমপুত্র ইরফান সেলিম সবশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।