দখিনের সময় ডেস্ক: জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য কিছু দেশ নানা রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর মধ্যে আছে মাতৃত্ব এবং পিতৃত্ব ছুটি বাড়ানো, বিনামূল্যে শিশুদের যত্ন ও দেখাশোনার ব্যবস্থা, আর্থিক প্রণোদনা এবং কর্মক্ষেত্রে বাড়তি অধিকারের ব্যবস্থা করা। কিন্তু এই সমস্যার কোন সুস্পষ্ট সমাধান আসলে এখনো নেই।
ব্রিটেন এবং এরকম কিছু দেশ তাদের জনসংখ্যা বাড়াতে অভিবাসনকে ব্যবহার করেছে। যাতে করে জন্মহার কমে যাওয়ায় জনসংখ্যায় যে ঘাটতি, তা পুষিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু যখন সবদেশের জনসংখ্যাই কমতে শুরু করবে, তখন আর এতে কাজ হবে না। প্রফেসর মারে বলেন, সীমান্ত খোলা রাখা হবে কি হবে না, এটা এখন একটা দেশের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কিন্তু এই অবস্থা থেকে আমরা এমন একটা পরিস্থিতির দিকে যাব, যখন কীনা অভিবাসীদের পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হবে। কারণ তখন আর যথেষ্ট অভিবাসীও থাকবে না।
সুইডেন নানা চেষ্টা করে তাদের জন্মহার ১ দশমিক ৭ হতে ১ দশমিক ৯ পর্যন্ত বাড়াতে পেরেছে। কিন্তু অন্য অনেক দেশ বহু চেষ্টা করেও জন্মহার বাড়াতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে। সিঙ্গাপুরে জন্মহার এখনো ১ দশমিক ৩ এ আটকে আছে। প্রফেসর মারে বলেন, অনেক মানুষ এই বিষয়টিকে হেসে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু তারা আসলে কল্পনাই করতে পারে না যে এটা সত্যি ঘটতে চলেছে। তারা মনে করে মহিলারা হয়তো আরও বেশি করে সন্তান নেবে। কিন্তু আপনি যদি একটা সমাধান খুঁজে বের না করেন, তাহলে কিন্তু মানবজাতিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে সেটা এখনো কয়েক শতাব্দী দূরের ব্যাপার।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রফেসর ইব্রাহীম আবুবকর বলছেন, এসব ভবিষ্যদ্বাণীর অর্ধেকও যদি সঠিক হয়, তাহলে অভিবাসন সব দেশের জন্য অত্যাবশকীয় হয়ে উঠবে, এটিকে তখন আর একটি বিকল্প হিসেবে দেখলে চলবে না।