দখিনের সময় ডেক্স:
কবর থেকে লাশ চুরিচক্রের এ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়মনসিংহ থেকে ১২টি মাথার খুলি, দুই বস্তা হাড়সহ বাপ্পি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কঙ্কাল চোরদের পাশাপাশি নিজেও কবর থেকে মরদেহ চুরি করত বাপ্পি ।পরে কেমিক্যাল দিয়ে হাড় থেকে মাংস আলাদা করে বিক্রি করতো বিভিন্ন স্থানে। তার কাছ থেকে ১২টি মাথার খুলি, দুই বস্তা হাড় ও হাড় থেকে দ্রুত মাংশ আলাদা করার কেমিক্যালসহ বাপ্পি নামে একজনকে আটক করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাপ্পি জানায়, আশপাশে কোথাও কোন মৃত্যুর খবর পেলে জানাজা ও দাফনে অংশ নিত সে। পরে রাতের আঁধারে মরদেহ চুরি করে কেমিক্যাল দিয়ে মাংশ ছাড়িয়ে নিয়ে আসতো কে-মিশন রোডের ভাড়া বাড়িতে। পুলিশ জানায়, বাপ্পি এর আগেও সে জেল খেটেছে।
বাপ্পির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার। ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান বলেন, আরও যারা জড়িত তাদের ব্যাপরে তথ্য পেয়েছি। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আমরা মোটামুটি একটা ধারণা পেয়েছি, কিভাবে এগুলো সংগ্রহ করা হয় এবং কোথায় বিক্রি করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বাপ্পি ও তার চক্রের সদস্যরা বাসার বারান্দাসহ সব জায়গা পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখত। দিনের বেলা মানুষের আনাগোনা কম থাকলেও রাতে ড্রাম ভর্তি কেমিক্যাল ও কার্টন ভর্তি মাল উঠানো হতো। বাপ্পিকে গ্রেপ্তারের পর সব কিছু জেনে হতবাক তারা। এ ঘটনায় বাপ্পী ও পলাশসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছে পুলিশ।