ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গত বছর মে মাসে আটককৃত লেখক মুশতাক আহমেদ মারাগেছেন। বিবিসি বলছে, কাশিমপুর কারাগারে আটক থাকা অবস্থাতেই বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে তিনি মারা গেছেন। তবে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুশতাক আহমেদ অসুস্থবোধ করলে তাকে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানেই তিনি মারা যান।
উল্রেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের পুলিশ জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং লেখক মুশতাক আহমেদকে ঢাকার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ অভিযোগ আনা হয়।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে একদল বিক্ষোভকারী। তারা আজ(২৬ফেব্রুয়ারী) শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়। এদিকে তার মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, “… মুসতাক কীভাবে মারা গেছেন তাঁর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে তিনি রাষ্ট্রের হেফাজতে ছিলেন, তাঁর দায়িত্ব নিয়েছিলো সরকার – এই মৃত্যুর দায়- হত্যার দায় সরকারের…।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক লিখেছেন, ” মুশতাক জেলে মারা গেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিলো। তার অপরাধ ছিলো লেখালেখি করা, অন্য কিছু নয়”।
মুশতাক আহমেদ ‘কুমির চাষের ডায়েরি’ নামে বইয়ের লেখক, তিনি ‘মাইকেল কুমির ঠাকুর’ নামে একটি ফেসবুক পাতাও পরিচালনা করেন, যাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্যও উঠে আসতো। তিনি বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষ শুরু করেছিলেন।